Peshawar Blast: জোরালো বিস্ফোরণে রক্তাক্ত মসজিদ চত্বর, মৃত ৪৬; পাকিস্তানের দুঃস্বপ্নে ‘সন্ত্রাসবাদের ভূত’

Blast in Peshawar mosque: তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যেও পাকিস্তানের পিছু ছাড়ছে না সন্ত্রাসবাদ। সোমবার (৩০ জানুয়ারি), এক জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রদেশের রাজধানী পেশাওয়ারের এক মসজিদ।

Peshawar Blast: জোরালো বিস্ফোরণে রক্তাক্ত মসজিদ চত্বর, মৃত ৪৬; পাকিস্তানের দুঃস্বপ্নে 'সন্ত্রাসবাদের ভূত'
বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে মসজিদটির একাংশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2023 | 7:34 PM

পেশাওয়ার: তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যেও পাকিস্তানের পিছু ছাড়ছে না সন্ত্রাসবাদ। সোমবার (৩০ জানুয়ারি), এক জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রদেশের রাজধানী পেশাওয়ার। পাক সংবাদমাধ্য়মগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেশাওয়ার পুলিশ লাইন এলাকার এক মসজিদে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, এক আত্মঘাতী হামলাকারী আচমকা মসজিদে ঢুকে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। সেই সময় মসজিদে নামাজপাঠ চলছিল। তাই মসজিদে বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অন্ততপক্ষে ৪৬ জন নিহত এবং আরও ১০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় বহু মানুষকে উদ্ধার করতে দেখা যাচ্ছে। পেশাওয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হতাহতদের। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা না নেওয়ার দায়ে দীর্ঘদিন পাকিস্তানকে ধুসর তালিকাভুক্ত করে রেখেছিল এফএটিএফ। যার জন্য দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি থেকে আর্থিক সহায়তা পায়নি পাকিস্তান। এখন চরম আর্থিক সংকটের মধ্যেও সেই সন্ত্রাসবাদের ভূত তাড়া করে বেড়াচ্ছে ইসলামাবাদকে।

ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পাক নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদসরা। পুরো এলাকাটিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, নামাজের আগে উপাসকদের মধ্যেই মিশে ছিল হামলাকারী। নামাজপাঠ শুরু হওয়ার পরই, সে তার গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক ভরা জ্যাকেটে বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই সময় মসজিদে অন্তত ২৬০ জন লোক ছিলেন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মসজিদটির একাংশ পুরো ধসে গিয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের উদ্ধার করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কী প্রকৃতির বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা চলছে। সরকারিভাবে হতাহতের কোনও সংখ্যা প্রকাশ না করা হলেও, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। যে ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, তাদের মধ্যে ২ জন পুলিশ কর্মী এবং মসজিদের ইমামও আছেন বলে জানা গিয়েছে।

এখনও কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে, গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে বারংবার হামলা চালিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি জঙ্গি সংগঠন। এমনকি চলতি মাসের শুরুতেই পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আফগান সীমান্তবর্তী গিলগিট, বালটিস্তান, পাক পঞ্জাব প্রদেশ-সহ এক বিরাট এলাকাকে তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করেছিল তালিবান। এমনকি, প্রতিরক্ষা, বিচার, তথ্য, রাজনীতি বিষয়ক, অর্থনীতি বিষয়ক, শিক্ষা, ফতোয়া, গোয়েন্দা এবং পরিকাঠামো-সহ একাধিক মন্ত্রক ও বিভাগ ঘোষণা করেছিল তারা। পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, পাকিস্তানি তালিবানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি এবং আইএসআইএস-এর আফগান শাখা। এই তিন জঙ্গি সংগঠন সম্মিলিতভাবে বর্তমানে পাক সরকারে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।