‘কোভ্যাক্সিন চুক্তি’তে বেনিয়মের অভিযোগ, জলঘোলা হতেই চুক্তি স্থগিত রাখল ব্রাজিল
Covaxin Deal Controversy in Brazil: চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলের সঙ্গে ২ কোটি টিকা রফতানির চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত বায়োটেক সংস্থা। কিন্তু তুলনামূলকভাবে কমদামি ফাইজ়ার(Pfizer)-র ভ্যাকসিন ছেড়ে কেন কোভ্যাক্সিনকেই বেছে নেওয়া হল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে।
রিও ডি জেনেরিও: কোভ্যাক্সিন (Covaxin) কেনা ঘিরে বিতর্ক চরমে উঠতেই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল ব্রাজিল(Brazil)। মঙ্গলবার সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করেন।
১৬০০ কোটি টাকার বিনিময়ে ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech) সংস্থার কাছ থেকে ২ কোটি কোভ্যাক্সিন কেনার চুক্তি করে ব্রাজিল। এরপরই বিতর্কের শুরু হয়। তুলনামূলকভাবে কমদামি ফাইজ়ার(Pfizer)-র ভ্যাকসিন ছেড়ে কেন কোভ্যাক্সিনকেই বেছে নেওয়া হল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। তৈরি করা হয় বিশেষ তদন্তকারী কমিটিও। চুক্তিতে প্রেসিডেন্টের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ আগেই ছিল, ভ্যাকসিন চুক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠতেই প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো চাপের মুখে পড়েন। তিনি দাবি করেন, “ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে হওয়া এই চুক্তিতে কোনও গলদ নেই”। বেশি দাম দিয়ে কোভ্যাক্সিন কেনার অভিযোগও উড়িয়ে দেন তিনি।
তবে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “তদন্তকারী কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী চুক্তিতে কোনও অনিয়ম নেই। তবে আরও গভীরে তদন্তের স্বার্থে স্বাস্থ্যমন্ত্রক আপাতত ওই চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এর আগে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারও চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ার খবর মেলে। কিন্তু সে সময় ব্রাজিল সরকারের তরফে কোনও জবাব মেলেনি।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলের সঙ্গে ২ কোটি টিকা রফতানির চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত বায়োটেক সংস্থা। কিন্তু উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রক সন্তুষ্ট না হওয়ায় রফতানিতে ছাড়পত্র মেলেনি। সম্প্রতি সংস্থার তরফে “গুড ম্যানুফাকচারিং প্রাকটিস”-র শর্ত পূরণ করে ফের আবেদন জানানো হয়। এরপরই সেই আবেদন বিশেষ কয়েকটি শর্তে গ্রহণ করে ব্রাজিল সরকার। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতিও পায় ভারত বায়োটেক। তবে চুক্তিতে গরমিলের প্রশ্নে আপাতত বিদেশে কোভ্য়াক্সিনের পাড়ি আটকে গেল।
আরও পড়ুন: শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে হাজির ‘ক্ষুব্ধ’ সিধু, রাহুলের দাবি ‘কোনও বৈঠক নেই’!