Cigarette: ‘প্রতি টানেই বিষ’! শুধু প্যাকেটে নয়, এ বার সিগারেটের গায়েও থাকবে সতর্কবার্তা
Smoking is injurious to health: ২০২৩ সালের মধ্যে পুরোপুরি ভাবে এই আইন বলবৎ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পুরনো বার্তার পাশাপাশি প্রতিটি সিগারেটের গায়ে লেখা থাকবে, ‘পয়সন ইন এভ্রি পাফ’।
অটোওয়া: সিগারেটের প্যাকেটের প্রায় অর্ধেক অংশ জুড়ে থাকা ছবি আমাদের জানান দেয়, ধূমপান শরীরকে কী ভাবে ঝাঝরা করে দিতে পারে। পাশাপাশি ধূমপান জনিত সতর্কবার্তাও লেখা থাকে প্যাকেটের গায়ে। বেশ কয়েক বছর ধরেই ধূমপায়ীদের সতর্ক করতে এই বার্তা দেয় ভারত –সহ বিভিন্ন দেশ। কিন্তু এই সতর্কবার্তা ধূমপায়ীদের সুখটান থেকে কতটা বিরত করতে পারে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা থাকলেও, সিগারেটের গায়ে সে রকম কিছু থাকে না। ধূমপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে প্রচার আরও জোরদার করতে, প্যাকেটের পাশাপাশি সিগারেটের গায়েও এ বার থেকে লেখা থাকবে সতর্ক বার্তা। তবে ভারতে এখনই এই ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু বিশ্বের মধ্যে এই উদ্যোগ সর্বপ্রথম নিচ্ছে কানাডা।
বিষয়টি নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কানাডার স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী ক্যারোলিন বেনেট বলেছেন, “আমাদের মনে হচ্ছে ধূমপানের সতর্কবার্তা দিন দিন গুরুত্ব হারাচ্ছে। প্যাকেটের গায়ে তা মূলত বন্দি হয়ে থাকছে। কিন্তু এই বার্তা আরও বেশি করে চোখে পড়া উচিত। মানুষকে আরও বেশি সতর্ক করা উচিত। তাই প্রতিটি সিগারেটের মাধ্যমে এই বার্তা যুবক থেকে বয়স্ক, সকলের কাছে পৌঁছনো দরকার। সে জন্যই প্যাকেটের পাশাপাশি সিগারেটের গায়েও সতর্কবার্তা থাকবে।”
ইতিমধ্যেই এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সে দেশের সরকার। ২০২৩ সালের মধ্যে পুরোপুরি ভাবে এই আইন বলবৎ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বেনেট আরও জানিয়েছেন, পুরনো বার্তার পাশাপাশি প্রতিটি সিগারেটের গায়ে লেখা থাকবে, ‘পয়সন ইন এভ্রি পাফ’। অর্থাৎ প্রতিটি টানেই বিষ। এর পাশাপাশি প্যাকেটের মধ্যে সতর্কবার্তার পাশাপাশি কী কী রোগ হয়, তার তালিকা যোগ করারও চিন্তা চলছে।
প্রসঙ্গত, সিগারেটের প্যাকেটে ফুসফুসের ক্ষতিকর ছবি ছাপানোর বিষয়টি বিশ্বের মধ্যে প্রথম করেছিল কানাডাই। প্রায় ২ দশক আগে এই পদক্ষেপ করেছিল তাঁরা। সিগারেটের গায়ে সতর্কবার্তার পদক্ষেপও প্রথম নিল ওই দেশ।