China: ‘দুই পক্ষই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আগ্রহী’, LAC-তে স্থিতাবস্থার বার্তা চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রীর
China: LAC-তে স্থিতাবস্থার বার্তা দিলেন চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী কিন গাং। তিনি এক প্রবন্ধে ভারত-চিন সীমান্ত ইস্যুতে লিখেছেন, "দুই পক্ষই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আগ্রহী।"
বেজিং: গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan Clash) পর থেকেই সীমান্তে লাল ফৌজ বাহিনী মোতায়েন রেখেছে চিন (China)। সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে সেনা কমান্ডার বৈঠকও হয়েছে একাধিকবার। তবে এই ইস্য়ুর পুরোপুরি মীমাংসা হয়নি। এদিকে শুধুমাত্র লাদাখ সীমান্তেই নয়। সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তেও সেনা মোতায়েন রয়েছে লাল ফৌজের। এদিকে সম্প্রতি ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরে পিএলএ জওয়ানরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায়। চিনা সেনারা লাঠি নিয়ে হামলা চালালে তাদের যোগ্য জবাব দিয়ে ফেরত পাঠায় ভারতীয় সেনা। এই আবহে চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী কিন গাং (Qin Gang) শান্তির বার্তা দিলেন।
ভারত-চিন সীমান্ত ইস্যুতে চিনের নয়া বিদেশমন্ত্রী কিন গাং বলেছেন,”ভারত ও চিন উভয় দেশই যৌথ উদ্যোগে সীমান্তে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে আগ্রহী।” উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই দেশের পরবর্তী বিদেশমন্ত্রী পদে ওয়াং ই-র উত্তরসূরি হিসেবে কিন গাংয়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিনের রাষ্ট্রদূত ছিলেন দীর্ঘদিন।
গত ২৬ ডিসেম্বর “চিন গোটা বিশ্বকে কী চোখে দেখে” শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে কিন ভারত-চিনের সম্পর্কে নিয়ে উল্লেখ করা হয়। সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “উভয় পক্ষই পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং সীমান্তে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে আগ্রহী।” উল্লেখ্য, গত মাসেই চুশুলে ১৭ তম কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছিল ভারত ও চিনের মধ্যে। সেই বৈঠকে লাদাখ সীমান্তে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এই বৈঠকের পর চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, উভয় পক্ষই পশ্চিম সেক্টরে স্থলভাগে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। তবে এরপরেও সীমান্তে চাপা উত্তেজনা জারি রয়েছে। এর মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে শান্তি রক্ষার বার্তা কিনের মুখে।
নিজের এই প্রবন্ধে আমেরিকাকেও দুষতে ছাড়েননি কিন। তিনি নিজের প্রবন্ধে তাইওয়ানের উপর স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের জন্য জাপানকে দোষারোপ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “চিনের উন্নয়নের অর্থ হল শান্তির জন্য শক্তিশালী হয়ে ওঠা। স্থিতাবস্থা ভাঙতে ক্রমবর্ধমান শক্তি হয়ে ওঠা চিনের লক্ষ্য নয়। তবে অনেকের চিন সম্পর্কে এই ধারণা নয়। বরং তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং বহিরাগত শক্তিগুলি ক্রমাগত এক চিন স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছে।”