Donald Trump: ‘আমেরিকার কালো দিন’, গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ট্রাম্প, আদালত পাঠাল সমন
Donald Trump classified documents case: বেআইনিভাবে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথি রাখার অভিযোগে বিদ্ধ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রথম ফেডারেল অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে আমেরিকার কোনও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। এর ফলে, দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে আসার পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে ট্রাম্পের জন্য।
ওয়াশিংটন: বেআইনিভাবে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথি রাখার অভিযোগে বিদ্ধ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রথম ফেডারেল অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে আমেরিকার কোনও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। এর ফলে, সম্ভবত দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে আসার পথও বন্ধ হয়ে গেল ট্রাম্পের জন্য। সূত্রের খবর, ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথি রাখা, সরকারি কাজে বাধাদানের ষড়যন্ত্র করা, মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া, গুপ্তচরবৃত্তির মতো সাতটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। তাঁকে যে অভিযুক্ত করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সেই খবর নিজেই জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে মায়ামির এক ফেডারেল আদালতে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমি কখনও ভাবিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এটা সত্যিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কালো দিন। আমাদের দেশের দ্রুত পতন ঘটছে। কিন্তু, আমরা একসঙ্গে ফের আমেরিকাকে মহান করে তুলব!”
মার্কিন বিচার বিভাগ থেকে অবশ্য এখনও ট্রাম্পকে তলবের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলির খবরেও সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের আইনজীবীদের ফেডারেল প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, তাঁর মার-আ-লোগোর বাড়িতে যে শ্রেণীবদ্ধ নথিগুলি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, সেই বিষয়েই ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হবে। অভিযোগপত্রটি এখনও মুখবন্ধ খামে রয়েছে। এমনকি ট্রাম্প নিজেও সেটি দেখতে পাননি বলে জানা গিয়েছে। এর আগেই একটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগের দিন এক পর্ন তারকাকে অর্থ প্রদানের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। গত মার্চ মাসে ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নি এই মামলায় ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।
এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ ওঠার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসে তাঁর যে সমর্থকরা রয়েছেন, তাঁরা তাঁকে বাঁচাতে নেমে পড়েছেন। এর মধ্যে সবার আগে আছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান জিম জর্ডন। ট্রাম্পের সময় তিনি মার্কিন সংসদের আইন বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বলেছেন, “এটা আমেরিকার জন্য একটি দুঃখের দিন। ঈশ্বর প্রেসিজেন্ট ট্রাম্পের মঙ্গল করুন।” তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন। গত বছরের অগস্ট মাসে ট্রাম্পের মার-এ-লাগোর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল এফবিআই। সেখান থেকে প্রায় ১১,০০০ নথি উদ্ধার করেছিল মার্কিন ফেডারেল তদন্ত সংস্থা। তার মধ্যে অন্তত একশোটি নথি ‘ক্লাসিফায়েড’ বলে চিহ্নিত করেছিল এফবিআই। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তিনি ওই নথিগুলি ‘ডিক্লাসিফাই’ করেছিলেন, অর্থাৎ সেগুলি আর শ্রেণিবদ্ধ ছিল না। তবে, সেই দাবির সপক্ষে ট্রাম্প কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। তাঁর আইনজীবীরাও আদালতে এই যুক্তি দিতে অস্বীকার করেছেন।