প্রায় ২০৬ বছর পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। হামলা হল মার্কিন (USA) কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবনে। এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবনে হামলা হয়েছিল ১৮১৪ সালে। তখন ‘ওয়ার অব ১৮১২’ চলার সময় ব্রিটিশ বাহিনী হামলা করেছিল। আগুন জ্বলেছিল মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটলে। কিন্তু এবার কংগ্রেসে হামলা করেছে আমেরিবাসীরাই। যার ফলে গোটা বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অধিবেশন চলছিল। তখনই ক্যাপিটলে চড়াও হন উগ্র ট্রাম্প (Donald Trump) সমর্থকরা।
ধীরে ধীরে হাউস ও সেনেটের সংযোগস্থলে উত্তেজিত আমেরিকাবাসীদের ভিড় বাড়তে থাকে। হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আইন প্রণেতাদের শান্ত হয়ে বসার কথা জানান। ওদিকে উগ্র ট্রাম্প সমর্থকদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফেটেছে, চলেছে গুলিও।
ছবি- টুইটার
ভেঙে গিয়েছে জানালা। লন্ডভন্ড মার্কিন ক্যাপিটল। উগ্র ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় প্রথমে বেঞ্চের তলায় তারপর মার্কিন কংগ্রেসের আইন প্রণেতাদের আশ্রয় নিতে হল আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলে। পরিস্থিতি বুঝে আগেই কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
ট্রাম্প সমর্থকদের দখলে চলে যায় মার্কিন ক্যাপিটল। সম্পূর্ণ ক্যাপিটল ভবন জুড়ে ধ্বংসলীলা চালান ট্রাম্প সমর্থকরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বন্ধ করা হয় বাইডেনকে স্বীকৃতি প্রদানের যৌথ অধিবেশন। উত্তেজিত আমেরিকাবাসীদের নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফের শুরু হয় অধিবেশন। সেখানে জয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয় জো বাইডেনকে।
ঘটনার নিন্দায় সরব সারা বিশ্ব। হবু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পের কড় সমালোচনা করে জানান, নিগৃহীত হয়েছে গণতন্ত্র। আমেরিকার কংগ্রেস ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় টুইট করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। টুইটে নমো লিখেছেন, "এই হিংসার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়া উচিত।"