ওয়াশিংটন ও ঢাকা: প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ। তিনদিনের মাথায় বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। আর সেই সরকারের মাথায় মহম্মদ ইউনূসের বসা। এর পিছনে নাকি অবদান রয়েছে এক মার্কিন কূটনীতিকের। আমেরিকার মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসার আগেই মার্শা বার্নিকাট নামে ওই মার্কিন কূটনীতিককে পদ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে তাঁর টিম। আর এই খবরে মাথায় হাত পড়তে চলেছে ইউনূস প্রশাসনের।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তাঁর শপথের আগের দিন মার্কিন কূটনীতিক মার্শা বার্নিকাটকে পদত্যাগের নির্দেশ নিয়ে বাংলাদেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাংলাদেশে অগস্টের আন্দোলন ও ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার কারিগর ছিলেন এই মার্শা বার্নিকাট। ট্রাম্পের টিম তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর দফায় দফায় বৈঠকে বসেন ইউনূস প্রশাসনের কর্তারা।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বিষয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি দেখতেন মার্কিন কুটনৈতিক মার্শা বার্নিকাট। মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ইউনূস সরকারের সমন্বয়ের কাজ করতেন তিনি। তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ায় ইউনূস প্রশাসন বিপাকে পড়তে চলেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশে কোটা সংস্কার ঘিরে আন্দোলন ও ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় হাত রয়েছে এই মার্শা বার্নিকাটের। শপথের আগেই ট্রাম্প এই কূটনীতিককে সরানোয় বাংলাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের জয়লাভের পর থেকেই নানা আশঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ। ট্রাম্প প্রশাসনের একের পর বড় নিয়োগে রীতিমতো চাপে বাংলাদেশের বর্তমান উপদেষ্টারা। এর মধ্যেই মার্শা বার্নিকাটকে সরে যেতে বলায় কার্যত দিশেহারা ইউনূস প্রশাসনের কর্তারা। রবিবার উপদেষ্টারা একাধিকবার বৈঠক করছেন নিজেদের মধ্যে।
হাসিনা বিরোধী মার্কিন তৎপরতার পিছনে এই মার্শা বার্নিকাটের বড় ভূমিকা ছিল বলে কূটনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য। ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মার্শা বার্নিকাট বাংলাদেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ছিলেন। আর সেই সময় থেকেই আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।