আছড়ে পড়ছে চতুর্থ ঢেউ, ‘প্রেমের শহরে’ টিকানীতিতে বৈষম্যের অভিযোগ, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা
France hit by Fourth Wave of COVID-19: বুধবার ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার মানুষ, যা গত মে মাসের শুরুর পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ সংখ্যা।
প্যারিস: চতুর্থ ঢেউ(Fourth Wave of COVID-19)-র মুখে ফ্রান্স। লকডাউন (Lockdown) থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের একবার উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ। সেই কারণেই রাতারাতি কঠোর হল ফ্রান্স (France) প্রশাসন। আনা হল নতুন ভ্যাকসিন পাসপোর্ট প্রক্রিয়া, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বুধবার থেকেই সিনেমা হল, মিউজিয়াম ও ক্রীড়াঙ্গনগুলিতে আগত দর্শকদের কাছে দেখতে চাওয়া হচ্ছে টিকাকরণের সার্টিফিকেট বা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। বিখ্যীত আইফেল টাওয়ার বা ল্যুভ্রে মিউজিয়ামে প্রবেশের জন্যও টিকাকরণ সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়ছে। দুটোর কোনওটিও দেখাতে না পারলেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না গন্তব্য়ে। নতুন নিয়মে “হেলথ পাস” দেখাতে হবে রেস্তরাঁ, ক্যাফে, শপিং মল সহ সমস্ত জায়গায়, যেখানে ৫০ জনের বেশি জমায়েত হয়।
সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স নতুন নীতির সপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, “আমরা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছি। নতুন করে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই টিকাপ্রাপ্ত নন। সংক্রমণ রুখতেই এবং চতুর্থবারের মতো লকডাউন এড়াতেই এই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।”
বুধবার ফ্রান্সে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার মানুষ, যা গত মে মাসের শুরুর পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ সংখ্যা। দেশে সংক্রমণ বাড়তেই যারা এখনও টিকা নিচ্ছেন না, তাদের উপরই ক্ষোভ উগরে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে কর ফাঁকি দেবেন বা ভুলপথে গাড়ি চালাবেন, কিংবা রেস্তরাঁয় বসে সিগারেট খাবেন। একইভাবে ভ্যাকসিন নিতেও অস্বীকার করতে পারেন না, যা আপনাকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি বাকিদেরও সুরক্ষা দেবে।”
গ্রীষ্মের শেষের মধ্যে ৫ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য থাকলেও এখনও অবধি দেশের মোট জনসংখ্যার কেবল ৪৬ শতাংশই টিকার দুটি ডোজ় পেয়েছেন। ৫৬ শতাংশ পেয়েছেন একটি ডোজ়। অন্যদিকে, দেশের নতুন ভ্যাকসিন নীতি নিয়েও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তাদের অভিযোগ, পর্যটকরা দেশে ঢোকার সময়ই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখিয়ে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারলেও সাধারণ বাসিন্দারা টিকাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও একাধিক জায়গায় তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আরও পড়ুন: জায়গা বাঁচাতে জলাধারের নীচেই সুড়ঙ্গ! জলে ১ সপ্তাহ ধরে বন্দী রইল ১৪ শ্রমিক, নির্মম পরিণতি অবশেষে