AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এক রাতেই পুড়ে ছারখার কয়েকশো বাড়ি, দাবানলের গ্রাস থেকে বেঁচেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে কান্না গৃহহীনদের

শনিবার টার্কিতে বৃষ্টি হওয়ায় সেখানে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও দমকা হাওয়ায় গ্রিসের বাকি অংশে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এক রাতেই পুড়ে ছারখার কয়েকশো বাড়ি, দাবানলের গ্রাস থেকে বেঁচেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে কান্না গৃহহীনদের
আগুনের ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা আকাশ। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2021 | 12:50 PM
Share

গ্রিস: তাপপ্রবাহে পুড়ছে গ্রিস (Greece)। ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রার জেরে গত সপ্তাহেই জঙ্গলে শুরু হয়েছিল দাবানল (Wildfire)। এ বার তা লোকালয়েও প্রবেশ করল। এক রাতেই ঘরছাড়া হয়ে গেলেন কয়েক হাজার মানুষ। কারণ সকলেরই বাড়ি চলে গিয়েছে আগুনের গ্রাসে।

বিগত ১০ দিনেই গ্রিসের প্রায় ৫৬ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমি পুড়ে গিয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে ইউরোপিয়ান ফরেস্ট ফায়ার ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যমে।  প্রতি বছরই দাবদাহ ও দাবানলের ঘটনা ঘটলেও এ বছরের বিভৎসতা গত বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে জানা গিয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ অবধি প্রতিবছর গড়ে ১৭০০ হেক্টর জমি পুড়ে যায়, সেখানে এই বছর ১০ দিনেই ৫০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমি পুড়ে গিয়েছে।

শনিবার টার্কিতে বৃষ্টি হওয়ায় সেখানে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও দমকা হাওয়ায় গ্রিসের বাকি অংশে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী মিতসোটাকিস বলেন, “এই বিভীষিকা শেষ হলে তারপরই ক্ষয়ক্ষতির আন্দাজ করা যাবে ও তা পূরণের কাজ শুরু  করা যাবে।”

আগুন নেভানোর চেষ্টা দমকলকর্মীদের। ছবি:PTI

ইতিমধ্যেই ফ্রান্স ও ব্রিটেনের তরফে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্য়াক্রঁ টুইট করে জানান, গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং ফ্রান্সের তরফে ৮০ জন দমকলকর্মী ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনটি ক্যানাডিয়ার অগ্নিনির্বাপক বিমানও পাঠানো হচ্ছে আকাশ থেকে জল ছিটিয়ে আগুন নেভানোর জন্য।

অন্যদিকে, ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি পটেলও শনিবার জানান, ব্রিটেনের তরফে দক্ষ দমকলকর্মীদের একটি দল পাঠানো হচ্ছে। মিশরের তরফেও দুটি হেলিকপ্টার ও একটি ক্যানাডিয়ার বিমান পাঠানো হবে।

বিগত ১০ দিন ধরে চলা তাপপ্রবাহ ও দাবানলের কারণে গ্রিসে দুইজন ও টার্কিতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ১০ থেকে ১২ জন দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতির জন্য আবহাওয়া পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়েছেন, গোটা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলটিই জলবায়ু পরিবর্তনের হটস্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামিদিনে তাপপ্রবাহ, খরা ও অগ্নিকাণ্ড আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলে সতর্ক করেছেন তারা। আরও পড়ুন: গোপন ডেরায় এয়ার ফোর্সের অভিযান, খতম অন্তত ২০০ তালিবানি জঙ্গি