জাকার্তা: রবিবার সকালেই ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে, সেমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে পুনরায় অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সেখান থেকে ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছাই ছড়িয়ে পড়িয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়েছে এবং তাদের অগ্ন্যুৎপাতের এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার জাভার উচ্চতম সেমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ছাই মেঘ ও পাইরোক্লাস্টিক প্রবাহ নির্গত হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, সেই ঘটনায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছিলেন। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বেশ কিছু মানুষের নিখোঁজ হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছিল। রবিবার, সকালে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সেমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে সাদা ও ধূসর রঙের ছাই নির্গত হতে দেখা গিয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি এবং ভূতাত্ত্বিক বিপদ প্রশমন কেন্দ্র।
উক্ত সরকারি সংস্থার তরফে স্থানীয় মানুষজনেক সতর্ক করে বলা হয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কোনও রকম কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত না থাকতে। এরপাশাপাশি লাভা প্রবাহের সতর্কতার জন্য নদী থেকে কমপক্ষে ৫০০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৪ তারিখ সেমেরু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছিলেন। প্রচুর পরিমাণ ছাই ও আগুনের গোলার কবলে পড়েছিলেন নিকটবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। ভয়ে আতঙ্কে তারা দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছোটছুটি করতে শুরু করেন। পূর্ব জাভা প্রদেশের লুমাজং জেলার ১১ টি গ্রাম এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আশেপাশের এলাকার সব কিছুর ওপর ছাইয়ের আস্তরন পড়ে গিয়েছিল। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে প্রায় ৯০০ জনের ও বেশি মানুষ নিকটবর্তী মসজিদ ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলেই জানা গিয়েছিল। অগ্ন্যুৎপাতের বেশ কিছু ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, গ্রামবাসীরা আতঙ্কে চিৎকার করে চারিদিকে ছুটছেন। ইন্দোনেশিয়াতে ১৪২ টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি বসবাস করেন।