Iran: ‘নেপথ্যে চিরশত্রুরা’, হিজাব প্রতিবাদ নিয়ে মুখ খুললেন সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই

Iran anti-hijab protests: চলমান হিজাব বিরোধী বিক্ষোভের বিষয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনেই। তাঁর মতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া 'পরিকল্পিত' এবং 'স্বাভাবিক নয়'।

Iran: 'নেপথ্যে চিরশত্রুরা', হিজাব প্রতিবাদ নিয়ে মুখ খুললেন সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই
প্রতিবাদ পরিকল্পিত বলে দাবি আয়াতুল্লা খামেনেই-এর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2022 | 6:40 PM

তেহরান: নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির। আর এই একটি মৃত্যুই আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ইরানে। হিজাব পরা নিয়ে কঠোর আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই প্রতিবাদ দমনও করা হচ্ছে কড়া হাতে। ইরান হিউম্যান রাইটস সংস্থা জানিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৯২ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় সোমবার (৩ অক্টোবর) কুর্দি সেই দেশে এই নজিরবিহীন ‘অশান্তি সৃষ্টির জন্য’ ‘চির শত্রু’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকেই অভিযুক্ত করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেই।

সংবাদ সংস্থা এএফপি খামেনেইকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “আমি স্পষ্টভাবে বলছি যে এই দাঙ্গা এবং নিরাপত্তাহীনতা বিদেশে কিছু বিশ্বাসঘাতক ইরানিদের সহায়তায়, আমেরিকা এবং দখলদার মিথ্যা ইহুদিপন্থী শাসক এবং তাদের ভাড়া করা এজেন্টদের নকশা করা।” প্রসঙ্গত মাহসার মৃত্যুর পর দেশ জুড়ে যে অশান্তি তৈরি হয়েছে, সেই সম্পর্কে এই প্রথম মুখ খুললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।

মাহসা আমিনীর মৃত্যুকে “মর্মান্তিক ঘটনা” বললেও, এর বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তা সঠিক বলে মনে করেন না খামেনেই। তাঁর মতে এই ধরনের প্রতিক্রিয়া “পরিকল্পিত” এবং “স্বাভাবিক নয়”। খামেনেই বলেন, “তরুণীর মৃত্যু একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনা আমাদেরও ব্যথিত করেছে। কিন্তু কিছু লোকের জন্য নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করা, কোরান, মসজিদ, ব্যাঙ্ক এবং জনগণের গাড়ি পোড়ানো এবং মহিলাদের হিজাব খুলে ফেলার এর সঠিক প্রতিক্রিয়া নয়। এগুলি স্বাভাবিক কাজ নয়। এগুলি পরিকল্পিত ছিল।”

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়। কঠোর হিজাব বিধি না মানার অভিযোগে তেহরানে তাঁকে আটক করেছিল নীতি পুলিশ। সেই সময় তাঁর সঙ্গে তাঁর ভাই ছিলেন। এর পর, নীতি পুলিশের হেফাজতেই তিনি আচমকা কোমায় চলে যান। এরপর স্থানীয় এক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যু ইরানে কঠোর হিজাব বিধির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে উসকে দিয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে ইরান জুরে হিজাব বিধির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহিলারাই। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ফেলে তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আঁচ ইরান ছাড়িয়ে আফগানিস্তান, ফ্রান্সেও ছড়িয়ে পড়েছে।