এইচ ভিসায় বড় সিদ্ধান্ত বাইডেনের, স্বস্তিতে অনাবাসী ভারতীয়রা
বারবার এইচ ভিসা অনুমোদনে স্থগিতাদেশ দিয়ে আমেরিকাবাসীর মন জয় করার চেষ্টা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এইচ ভিসার অনুমোদন বন্ধ করে জানিয়েছিলেন, এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন লকডাউনে কাজ হারিয়ে ফেলা আমেরিকানরা।
ওয়াশিংটন: ক্ষমতায় এসেই ট্রাম্পের একাধিক সিদ্ধান্তের উল্টো পথে হেঁটেছিলেন বাইডেন (Joe Biden)। এবার এইচ ভিসা নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শপথ গ্রহণের ১ সপ্তাহ পর এইচ-৪ ভিসা নিয়ে সংশয় কাটালেন তিনি। এইচ-১ বি ভিসায় যাঁরা মার্কিন মুলকে কাজ করতে যেতেন, তাঁদের স্ত্রীকে এই এইচ-৪ ভিসা দেওয়া হত। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এইচ-৪ ভিসায় স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। যার ফলে সমস্যায় পড়েছিলেন মার্কিন মুলুকে অল্প সময়ের জন্য কাজ করতে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীরা।
কী এই এইচ-৪ ভিসা?
এইচ-৪ ভিসায় অনুমোদন দেয় ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস। এইচ-১বি ভিসা ব্যবহারকারীর স্ত্রী বা স্বামী ও পরিবারের ২১ বছরের কম বয়সী সদস্যরা এই ভিসা পান। বিগত বছরগুলিতে দেখা গিয়েছে, এই ভিসার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছেন ভারতীয় ও চিনের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা।
এইচ-৪ ভিসায় কেন জটিলতা ছিল?
এইচ-১ বি ভিসায় যাঁরা আমেরিকায় কাজ করতে যেতেন, তাঁদের স্ত্রী স্বামীকে এই এমপ্লয়মেন্ট অথরাইজেশন কার্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প মসনদে বসার সঙ্গে সঙ্গেই এই সিদ্ধান্তের উল্টো পথে হাঁটার কথা জানান। কিন্তু প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ৪ বছরে ওবামার উল্টো নীতি কার্যকর করতে পারেননি ট্রাম্প। বাইডেন তাঁর নির্বাচনী প্রচারে জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে ট্রাম্পের সেই প্রস্তাব তিনি মুছে ফেলবেন। সেই মতোই বাইডেন ক্ষমতায় এসে ট্রাম্পের এইচ-৪ ভিসা অনুমোদনের বিরোধী প্রস্তাব মুছে দিলেন।
আরও পড়ুন: বাইডেন-পুতিনের ফোনালাপেও উঠে এল ট্রাম্পের ‘ভোট কারসাজির’ প্রসঙ্গ
প্রসঙ্গত, বারবার এইচ ভিসা অনুমোদনে স্থগিতাদেশ দিয়ে আমেরিকাবাসীর মন জয় করার চেষ্টা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এইচ ভিসার অনুমোদন বন্ধ করে জানিয়েছিলেন, এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন লকডাউনে কাজ হারিয়ে ফেলা আমেরিকানরা। অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। বাইডেন অবশ্য উদার অভিবাসন নীতিতে বিশ্বাসী। তাঁর মতে, বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষরা এসেই গড়বেন আমেরিকা।