ওয়াশিংটন: দুটি ডোজ়েরও প্রয়োজন নেই, জনসন অ্যান্ড জনসনে(Johnson & Johnson)-র তৈরি করোনা টিকা(COVID-19 Vaccine)-র প্রথম ডোজ়েই কাহিল হবে অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (Delta Varaint)। বৃহস্পতিবার প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়, এই টিকা নেওয়ার পর মানবদেহে ডেল্টা সহ করোনার সমস্ত প্রজাতির বিরুদ্ধেই অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। এটি করোনা সংক্রমণে বাকি ভ্যাকসিনের তুলনায় আরও বেশি সুরক্ষা দেয়।
ভারতে প্রথম খোঁজ মেলা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যেই গোটা ব্রিটেন দাপাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ারও অধিকাংশ শহরেই ডেল্টার দাপটেই লকডাউন জারি হয়েছে। আমেরিকাতেও ক্রমশ বাড়ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেখানেও এই ভ্যারিয়েন্টেরই দাপট দেখা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতিই একটি গবেষণায় জানা গিয়েছিল যে, জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা ফাইজ়ার বা মডার্নার আরএনএ ভ্যাকসিনের তুলনায় কম কার্যকরী। করোনা মোকাবিলায় এর বুস্টার ডোজ়ের প্রয়োজন রয়েছে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। তবে বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, “অত্যন্ত খুশির সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে বর্তমানে কোনও বুস্টার ডোজ়ের প্রয়োজন নেই। জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা সমস্ত স্ট্রেনের বিরুদ্ধেই কার্যকরী।”
সংস্থার তরফে জানানো হয়, প্রথম ডোজ় নেওয়ার ২৯ দিনের মধ্যেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে প্রশমণ করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় দেহে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়তে থাকে। সংস্থার প্রধান ভ্যান হুফ বলেন, “আমার মনে হয়না প্রথম টিকা নেওয়ার একবছরের মধ্যে আর কোনও বুস্টার ডোজ়ের প্রয়োজন রয়েছে। যদি একান্তই বুস্টার ডোজ়ের প্রয়োজন হয়, তবুও টিকা তৈরির উপাদানে কোনও বদল আনা হবে না।”
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের গবেষক ও কিছু টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থারা সরাসরি করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টকে কাবু করার জন্যই বিশেষ ভ্যাকসিন তৈরি করছেন, যাকে বুস্টার ভ্যাকসিন বলা হচ্ছে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন প্রাপ্ত আটজনের উপর শেষ দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়। সেখানেই দুটি ভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, টিকার একটি ডোজ়েই করোনা সংক্রমণ রোখা সম্ভব। আগামি কয়েক দিনের মধ্যেই বায়োআরস্কিভ নামক একটি জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ঘুষ দিলেই বদলে যাচ্ছে সোয়াব, রিপোর্ট আসছে পজেটিভ, বেসরকারি কর্মীদের ছুটি আদায়ের পর্দাফাস!