ইসলামাবাদ: তালিবান (Taliban) নিয়ে ভোলবদল যেন পাকিস্তানের (pakistan) রোজনামচায় পরিণত হয়েছে। তালিবানকে সমর্থন করার পর এই সপ্তাহে হওয়া আন্তর্জাতিক সম্মলনে কোণঠাসা হওয়ার পর, ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)।
তালিবানের উদ্দেশে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, আফগানিস্তানে (Afghanistan) বর্তমান পরিস্থিতিতে, আফগানি মহিলাদের শিক্ষা লাভ থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত যদি নেওয়া হয়ে থাকে তবে তা ইসলাম বিরুদ্ধ বলেই মনে করেন তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, খুব দ্রুত তালিবান নেতৃত্ব আফগান মহিলাদের পড়াশোনা শুরু করার অনুমতি দেবে। তালিবানি নেতৃত্বের প্রতি ইমরানের বার্তা, যোগ্য শাসকদের পরিচয় তাঁদের দায়িত্ববোধ। আফগানিস্তানের নতুন শাসকরা যেন মানবাধিকারের প্রতি যোগ্য সম্মান প্রদর্শন করেন। নিদের বক্তব্যে পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আফগানিস্তানে কখনই এমন কোনও জঙ্গি কার্যকলাপ প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয় যাঁর ফলে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়।
আরও পড়ুন Barrackpore: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যু ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে! সরজমিনে Tv9 বাংলা
ব্রিটেনের (United Kingdom) এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানে সরকার গঠনের ব্যর্থতার এশিয়ার এই দেশটিকে গৃহ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলেই মনে করেন তিনি। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেতে পারে এমন জঙ্গি সংগঠন যেন কোনও ভাবেই আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে কোনও রকম নাশকতামূলক কার্যকলাপ না চালাতে পারে এই বিষয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
তালিবানরা তাঁদের সরকারে যদি সব দলকে অন্তর্ভুক্ত না করেন তবে তাঁর পরিনতি আজ হোক বা কাল, ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধের দিকে সেই দেশকে ঠেলে দেবে। এর ফলে দেশে পুণরায় অস্থির ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে যা জঙ্গি কার্যকলাপের পক্ষে আদর্শ। এমনটা যদি হয় তবে তা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
দীর্ঘ যুদ্ধের পর আফগানিস্তানের মসনদে তালিবান অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই সমগ্র দেশ জুড়ে আবার নয়ের দশকের ত্রাস ও আতঙ্কের পরিবেশ পুনরায় ফিরে এসেছে। আফগানি মহিলারা এই তালিবান রাজে তীব্র আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কারণ আগের তালিবান শাসনে, মহিলাদের অধিকার নিয়ে অনেক প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছিল সমগ্র দেশ জুড়ে। সেই রকম ভয়াবহ পরিবেশ আবার ফিরে আসার চিন্তা সমগ্র আফগান নারী জাতি ও সমাজকর্মীদের ভাবাচ্ছে। এরই মধ্যে তালিবান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছেলেদের স্কুল খোলার কথা ঘোষনা করলেও, মেয়েদের স্কুল খোলার ব্যাপারে তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
সার্ক (SAARC) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে উপস্থিত ভারত, ভুটান, বাংলাদেশের মতো সকল সদস্য দেশের একটা বড় অংশ আফগানিস্তানের জন্য বরাদ্দ চেয়ার খালি রাখার কথা বললেও, বিরোধিতা করেছিল পাকিস্তান। তাই মহিলাদের শিক্ষার দাবিতে তথাকথিত সোচ্চার হয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন Canning: সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে ‘দলাদলি’, পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে চলল হুজ্জুতি