Marijuana Legalize: প্রেসিডেন্ট হলে গাঁজা চাষ, সাপের বিষ বিক্রি বৈধ করে দেবেন! দেশের ঋণ মেটাতে আজব প্রতিশ্রুতি পদপ্রার্থীর
Luchiri Wajackoyah: তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হলে গাঁজাকে বৈধ ঘোষণা করা হবে। সাপ পালন করে প্রজননও করা যাবে।
নাইরোবি: ঋণে জর্জরিত কেনিয়ায় কয়েক দিন পরই হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনে অন্যতম পদপ্রার্থী লুচিরি ওয়াজাককোয়া। চোখে চশমা মুখ ভর্তি ধূসর দাড়ি-গোঁফ নিয়ে লুচিরি যেখানেই যাচ্ছেন কমবয়সি থেকে মাঝবয়সি জনতার ভিড় শুধু তাঁকে ঘিরেই। মাঝে মধ্যেই ট্রাকশুট পরে খালি পায়েই বেরিয়ে পড়ছেন এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেন কি না, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু তাঁর দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা সে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে চলছে অন্য দেশেও। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তাঁর জীবনও বেশ বর্ণময়। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির রাস্তায় পথশিশু ছিলেন। সেখান থেকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তা হয়েছিলেন। নির্বাসিত হয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ব্রিটেনে। সেখানে গিয়ে কবরের মাটি খোঁড়ার কাজও করেছেন। সেই লুচিরির ‘ভাঙ ভাঙ’ স্লোগানে উদ্বেলিত আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা, ঋণে জর্জরিত আফ্রিকার মহাদেশের এই দেশবাসীর একাংশ।
ঋণে জর্জরিত কেনিয়ায় দেশের ঋণ মেটানো সব রাজনৈতিক দলেরই নির্বাচনের অন্যতম অ্যাজেন্ডা। লুচিরিও দেশের ঋণ মেটাতে কিছু উপায়ের কথা বলেছেন। সে গুলি নিয়েই আলোচনা শুরু হয়েছে। লুচিরি জানিয়েছেন, তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হলে গাঁজাকে বৈধ ঘোষণা করা হবে। সাপ পালন করে প্রজননও করা যাবে। এই সাপের বিষ এবং হায়েনার অন্ডকোষ বিক্রি করা হবে চিনকে। যা ওষুধ তৈরির কাজে চড়া দামে কিনবে চিন। তা বিক্রি করে যা রোজগার হবে তা দিয়ে দেশের ঋণ মেটানো অনেক সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি। যদিও সংবাদ সংস্থা এএফপি-র দাবি এই প্রতিশ্রুতি বাস্তব ভিত্তি নেই। কিন্তু সেই সকর্তবাণী কেনিয়ার গরীব জনগণের কাছে পৌঁছনো যত কঠিন, তার থেকে শতগুণ সোজা লুচিরির প্রতিশ্রুতি পৌঁছে যাওয়া। সে জন্যই জনসভায় দাঁড়িয়ে লুচিরি ঘোষণা করেন, “তিনি প্রত্যেকের প্রেসিডেন্ট।“ সেই সঙ্গে দলকে নয়, প্রার্থীকে দেখে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
লুচিরি বলেন, নাইরোবির এক নোংরার স্তূপ থেকে তাঁকে উদ্ধার করেছিলেন বিখ্যাত সংরক্ষণবিদ রিচার্ড লিকে। উদ্ধার করে হরে কৃষ্ণ মন্দিরে রাখা হয়েছিল তাঁকে। হাই স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ১৯৮০ সালে পুলিশের কাজে যোগ দেন তিনি। ১৯৯০ সালে কেনিয়ার বিদেশমন্ত্রী রবার্তো ওউকোর হত্যার তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করেছিলেন তিনি। এর পর রাষ্ট্রীয় অত্যাচার শুরু হয় তাঁর উপর। তখন ব্রিটেনে পালিয়ে যান তিনি। সেখানে গিয়ে কবর খোঁড়ার কাজ করেন। ১৭টি ডিগ্রি আছে বলে দাবি করলেও তার সপক্ষে প্রমাণ দেখাতে পারেন না।
ব্রিটেন থেকে ফিরে রুটস পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছেন তিনি। তা হয়ে যে ১০ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার মধ্যেই রয়েছে গাঁজাকে বৈধ করা, সাপের প্রজননের মতো প্রতিশ্রুতি। সেই সঙ্গে সরকারি সম্পত্তি চুরি করা ব্যক্তিদের প্রকাশ্য়ে ঝোলানোর নিদানও দিয়েছেন তিনি। কর্মদিবস চার দিন করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। ৯ অগস্ট সে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এখন দেখার এই খামখেয়ালি পদপ্রার্থী সে দেশের প্রেসিডেন্ট হন কি না।