ইসলামাবাদ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ফের একবার পাক প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার জন্য শেহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদী। তারই জবাবে, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ), সোশ্যাল মিডিয়ায়, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন শরিফ। তিনি লেখেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমায় আপনি অভিনন্দন জানিয়েছেন, এর জন্য নরেন্দ্র মোদী, আপনাকে ধন্যবাদ।” চলতি সপ্তাহের সোমবারই পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ৭২ বছরের এই পাক রাজনীতিক। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই চেয়ারে বসেছেন তিনি। প্রায় এক মাস আগে হয়েছিল পাকিস্তানের নির্বাচন। ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত পিএমএল(এন) এবং পিপিপি দলের জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেওয়ার পরই, গত মঙ্গলবার, তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য শেহবাজ শরিফকে অভিনন্দন।”
২০২২ সালের অগস্টে পাক প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে বাধ্য হয়েছিলেন ইমরান খান। তারপর আঠারো মাস ধরে জোট সরকার চালিয়েছিলেন শেহবাজ শরিফ। এবার, দ্বিতীয়বারের মতো তনি এই আসনে বসলেন। সকলেই আশা করেছিলেন পিএমএল(এন) প্রধান তথা শেহবাজের দাদা, নওয়াজ শরিফই আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু, পিএনএল(এন) সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায়, প্রধানমন্ত্রী হতে চাননি নওয়াজ। বদলে, ভাইকে এগিয়ে দেন।
নির্বাচিত হওয়ার পর, পাক সংসদে শেহবাজ শরিফ বলেছেন, তার আমলে, পাকিস্তানকে কোনও ‘খেলার’ অংশ হবে না। সাম্যের নীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে। তারপরও অবশ্য কাশ্মীর সমস্যার কথা বলতে ছাড়েননি শেহবাজ। কাশ্মীর সমস্যাকে তিনি ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সমস্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
২০১৬ সালে পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। এরপর, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর এক প্রশিক্ষণ শিবিরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারত। ওই ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। ২০১৯ সালের অগস্টে, ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার করার পর, দুই দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা আরও বেড়েছে।