কিয়েভ: গতকালই ভারতীয় সময় সকাল ৮ টা নাগাদ ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া (Russia-Ukraine Conflict)। একদিন কাটতেই ছবির মত সুন্দর ইউক্রেনের চারিদিকে ধ্বংসলীলার চিহ্ন। কালো ধোয়ায় ছেয়ে গিয়েছে চারপাশ, মুহুর্মুহু মিসাইল হানার শব্দে ভয়ে সিটিয়ে রয়েছে সাধারণ ইউক্রেনবাসী। এই অবস্থাতেও রাশিয়ান আগ্রাসন বেড়েছে বই কমেনি। সামরিক ক্ষমতায় ইউক্রেনের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রাশিয়া তাই স্বাভাবিকভাবেই ‘সুপার পাওয়ার’-র আক্রমণে ইউরোপের এই ছোট দেশটি তছনছ হওয়ার মুখে। কিন্তু কিয়েভ (Kiev) দখলে বদ্ধপরিকর রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। ইউক্রেনের রাজধানীর দিকে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে রাশিয়ান সেনা। কিয়েভ দখলে যাতে কোনও বাধার সম্মুখীন হতে না হয় সেই কারণে এক দুর্দান্ত কৌশল নিয়েছে রুশ বাহিনী।
⚡️The Russian military seized two vehicles of the Armed Forces of Ukraine, changed into Ukrainian uniform and are moving to the center of Kyiv. They are followed by a column of Russian military trucks, says Deputy Defense Minister.
— The Kyiv Independent (@KyivIndependent) February 25, 2022
BREAKING: Ukraine's deputy defence minister says Russian troops wearing Ukrainian uniforms were able to seize Ukrainian military vehicles, which are now heading towards Kyiv.
— The Spectator Index (@spectatorindex) February 25, 2022
জানা গিয়েছে, ইউক্রেনিয় সেনার পোশাক পরেই ক্রমশ রাজধানী কিয়েভের দিকে এগোচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে যে, রুশ বাহিনী ইউক্রেন সেনার বেশ কিছু সামরিক গাড়িকে কব্জা করেছে এবং নিজেদের পোশাক বদল ফেলে ইউক্রেন সেনার উর্দি পরে নিয়েছে। স্থানীয় এই সংবাদপত্র জানিয়েছে, “রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেন সেনার দুটি সামরিক গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। ইউক্রেনিয় সেনার ইউনিফর্ম পরে নিয়ে তারা এবার কিয়েভের কেন্দ্রস্থলের দিকে এগচ্ছে। তাদের পিছনেই রুশ সেনার সারি সারি লরি ইউক্রেনের দিকে এগচ্ছে, উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এমনটাই জানিয়েছেন।”
আজ সকালেই রাজধানী কিয়েভের সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিল রুশ সেনাবাহিনী। সেখানে দুই দেশের সেনার মধ্য ভয়ঙ্কর লড়াই শুরু হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোডিমির জ়েলেনস্কি জানিয়েছে এবার সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করতে পারে রুশ সেনা বাহিনী এবং সেখানে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যেতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ, শুক্রবার দিনের আলো ফোটার আগেই একের পর এক বিস্ফোরণ কেঁপে ওঠে ইউক্রেন। রাজধানীতে একের পর এক মিসাইল আঘাত হেনেছে। বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছিলেন, ১৯৪১ সালে শেষবার নাৎসি জার্মানির আক্রমণে ইউক্রেনে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে এখন গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন Supreme Court: ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট