S Jaishankar: ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধি নয়, ভারত-আমেরিকার সম্পর্কের পরিসর বৃহৎ, মত বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

রবিবার আমেরিকায় পৌঁছনোর পর থেকেই আমেরিকা সরকারের একাধিক শীর্ষ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর।

S Jaishankar: ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধি নয়, ভারত-আমেরিকার সম্পর্কের পরিসর বৃহৎ, মত বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের
আমেরিকায় জয়শঙ্কর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2022 | 5:46 PM

ওয়াশিংটন: ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নয়। পৃথিবীর বৃহত্তম দুই গণতন্ত্রের মধ্যে সম্পর্কের প্রভাব পড়ে গোটা বিশ্বে। আমেরিকায় চার দিনের সফরের শেষ দিনে এ রকমই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি আরও জানিয়েছেন, দুদেশই স্বীকার করে এই সম্পর্কের মধ্যে সেরা সম্ভাবনা ও সামর্থ্য রয়েছে। আগামী দিনে তা আরও দৃঢ় হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনে দাঁড়িয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, “যদি আপনি ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কের দিকে দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই সম্পর্ক ক্ষুদ্র স্বার্থে আটকে নেই। এই সম্পর্ক নিজ নিজ স্বার্থের জন্য নিয়োজিত নয়। আমাদের সম্পর্ক সারা বিশ্বের উপর প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায়।”

রবিবার আমেরিকায় পৌঁছনোর পর থেকেই আমেরিকা সরকারের একাধিক শীর্ষ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। আমেরিকার সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন, ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন, কমার্স সেক্রেটারি গিনা রাইমন্দ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর জাকে সুলিভান এবং পাঁচ আইনসভার সদস্য়দের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন সেনেটর আমি বেরাও। এর পাশাপাশি আমেরিকার ব্যবসায়িক মহলের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি।

ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, “আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভীষণ মজবুত। বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে আমদের সম্পর্কের নজর রয়েছে। আমাদের অবস্থান হয়তো সব সময় এক থাকে না। আমাদের গুরুত্বের ফারাকও হয়ে থাকে। সেটাই স্বাভাবিক। তবুও আমাদের সম্পর্ক মজবুত। আমাদের সম্পর্কের সবথেকে ভাল দিকটি হল, আমরা একে অপরকে জায়গা ছেড়ে দিই। তাই সব বিষয়ে এক মত না হলেও আমাদের মতপার্থক্য হয় না।”