Crime News: পরেরদিনই মুক্তি মিলত ২ বছরের ‘নজরদারি’ থেকে, আগের রাতেই বাথরুমে চরম অবস্থায় পাওয়া গেল মহিলাকে
Crime News: গত ১৪ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত ব্য়ক্তিকে সাজা দেওয়ার কথা ছিল। ঠিক তার আগেরদিনই ওই মহিলাকে ফের অনুসরণ করেন অভিযুক্ত। সেন্ট্রাল সিওলের একটি শৌচাগারে ওই মহিলা ঢুকতেই, তাঁর পিছু করেন ওই ব্যক্তি।
সিওল: বাড়ি থেকে বের হলেই পিছু করত একজোড়া চোখ। যেখানেই যান না কেন, সর্বক্ষণই মনে হত কেউ যেন পিছু করছে। সন্দেহটা সত্যিও হল কিছুদিনের মধ্যে। দেখা গেল, এক প্রাক্তন সহকর্মীই ক্রমাগত অনুসরণ করতেন ওই মহিলাকে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। কিন্তু ‘ক্ষতির সম্ভাবনা নেই’ বলেই পুলিশ অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়। অনুসরণ করা থামেনি এরপরও। বরং সরাসরি হুমকি দেওয়াও শুরু হল। দ্বিতীয়বার পুলিশে অভিযোগ জানাতেই বিষয়টা গড়াল আদালতে। কিন্তু শেষ অবধি সুবিচার আর পাওয়া হল না ওই মহিলার। সাজা ঘোষণার আগেরদিনই ওই মহিলাকে খুন করল অভিযুক্ত। দক্ষিণ কোরিয়ার এই ঘটনাই বর্তমানে শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে।
জানা গিয়েছে, জিওন জু হওয়ান (৩১) নামক দক্ষিণ কোরিয়ার ওই ব্য়ক্তি বিগত দুই বছর ধরে তাঁর প্রাক্তন এক সহকর্মীকে অনুসরণ করতেন। প্রথমবার পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর অনুসরণ করা ছেড়ে দেওয়া তো দূর, বরং আরও নজরদারি শুরু করেন। প্রায় সময়ই ওই প্রাক্তন সহকর্মীর পথ আটকে তাঁকে শাসাতেন, কুপ্রস্তাবও দিতেন ওই ব্যক্তি। বিগত দুই বছরে তিনি কমপক্ষে ৩০০ বার ওই প্রাক্তন সহকর্মীকে অনুসরণ করেন বলে জানা গিয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতেই বাধ্য হয়ে ওই মহিলা ফের অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অবধি মামলা গড়ানোয় চরম ক্ষুব্ধ হন ওই ব্যক্তি। যেদিন আদালতে সাজা ঘোষণার কথা ছিল, তার আগের দিনই ওই মহিলাকে খুন করেন তিনি। পরেরদিনই আদালত ওই মহিলাকে অনুসরণ ও খুনের অভিযোগে ৯ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত ব্য়ক্তিকে সাজা দেওয়ার কথা ছিল। ঠিক তার আগেরদিনই ওই মহিলাকে ফের অনুসরণ করেন অভিযুক্ত। সেন্ট্রাল সিওলের একটি শৌচাগারে ওই মহিলা ঢুকতেই, তাঁর পিছু করেন ওই ব্যক্তি। শৌচাগারেই ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন ওই মহিলাকে।
আদালতে খুনের কারণ জানতে চাওয়া হলে, অভিযুক্ত ব্যক্তি জানান, তিনি ওই মহিলার সঙ্গে সিওল মেট্রোয় কাজ করতেন। সেখানে তাঁকে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই। এরপর থেকেই তিনি সব জায়গায় ওই মহিলাকে অনুসরণ করতে শুরু করেন। কিন্তু পুলিশে অভিযোগ জানানোর কারণে তাঁকে যে আইনি ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, সেই ক্ষোভেই তিনি ওই মহিলাকে খুন করেন। খুনের আগে তিনি আদালতে ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠিও জমা দিয়েছিলেন।
আদালতের তরফে অভিযুক্তকে নয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৮০ ঘণ্টার স্টকিং ট্রিটমেন্ট ক্লাস ও ৪০ ঘণ্টার যৌন হেনস্থা প্রতিরোধ ক্লাস করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।