Bangladesh: সম্পত্তি বিক্রি করতে লন্ডনে ‘দোকান সাজিয়েছে’ হাসিনা-ঘনিষ্ঠরা, অন্তর্তদন্তে উঠে এল তথ্য
Sheikh Hasina: এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা গেলেও, বহু ঘনিষ্ঠের সম্পত্তির কোনও হদিশ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কারণ জুলাই আন্দোলনের সময়কালেই সেই সম্পত্তিগুলি হয় বিক্রি করেছিলেন, আর নয় তো হস্তান্তর করে দিয়েছিলেন বহু শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ।

লন্ডন: যে অভিযোগ উঠেছিল হাসিনার বোনঝি টিউলিপের বিরুদ্ধে, সেই একই অভিযোগ উঠল শেখ হাসিনার অন্য ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। যখন লন্ডনে একের পর এক হাসিনা ঘনিষ্ঠের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছে ব্রিটিশ তদন্তকারী সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি। সেই আবহে হাসিনা ঘনিষ্ঠের সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে তাদের অন্তর্তদন্তে বড় দাবি করে দিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’।
গত কয়েক সপ্তাহ আগেই লন্ডনে দুই হাসিনা ঘনিষ্ঠ, যাদের মধ্যে একজন আবার সেখ হাসিনার সময়কালে জমি মন্ত্রী ছিলেন, তাদের মোট ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড বা ভারতীয় মুদ্রায় ৩ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিএ। এবার সেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে দাবি, এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা গেলেও, বহু ঘনিষ্ঠের সম্পত্তি জুলাই আন্দোলনের সময়কাল থেকেই বিক্রির চেষ্টা চলছে।
একটি প্রতিবেদন ওই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হাসিনা-ঘনিষ্ঠেরা গত বছরে এমন অন্তত পক্ষে ২০টি লেনদেনের আবেদন জমা দেন ব্রিটেনের জমি রেজিস্ট্রি দফতরে। এই সম্পত্তিগুলি সবই বাংলাদেশের প্রশাসনের তদন্তের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। যা আপাতত বিক্রি, বন্ধক অথবা হস্তান্তরের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
সেই প্রতিবেদনের সময়কালে নিয়ে সঠিক ভাবে কিছু বলা না হলেও, তাতে দাবি করা হয়েছে, এই সম্পত্তিগুলির সঙ্গে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সময়ে চলা দুর্নীতি জড়িত। এমনকি, বাংলাদেশের এক ব্যবসায়ী আহমেদ আকবর সোবহান ও তার পরিবারের লন্ডনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবৈধ সম্পত্তি নিয়ে অন্তর্তদন্তে নানা তথ্য তুলে ধরেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
উল্লেখ্য, এর আগে হাসিনার দুই বোনঝি টিউলিপ সিদ্দিক এবং আজমিনা সিদ্দিকের লন্ডনের সম্পত্তি ঘিরে বিতর্কের দানা বাঁধে। টিউলিপের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তোলে ইউনূস প্রশাসন। সেই কারণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ব্রিটেন সফরে গেলে হাসিনার বোনঝি তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে আলাপ করতে চান। কিন্তু সাক্ষাতে নারাজ বলেই জানিয়ে দেন ইউনূস।

