Sri Lanka Crisis: শুধু আর্থিক সঙ্কট নয়, সামনে আসছে বড় ‘বিপদ’! রক্ষা পেতে নির্বাচনের ডাক শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের

Sri Lanka Crisis: রাজাপক্ষ সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে, তবে আগামিদিনে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে বলেও তিনি জানান। সিরিসেনা বলেন, "বর্তমানে চরম খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়েছেন প্রায় ২-৩ লক্ষ মানুষ। আগামিদিনে লাখ লাখ মানুষ বাড়িতেই অনাহারে মারা যাবেন।"

Sri Lanka Crisis: শুধু আর্থিক সঙ্কট নয়, সামনে আসছে বড় 'বিপদ'! রক্ষা পেতে নির্বাচনের ডাক শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2022 | 12:15 PM

কলম্বো: রাজাপক্ষ পরিবার ক্ষমতায় আসতেই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দেশ। ‘জনদরদী’ সরকার হতে গিয়ে বিদেশি ঋণের বোঝায় চাপা পড়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে দেশ, খাবার থেকে শুরু করে জ্বালানি-অভাব দেখা দিয়েছে যাবতীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের। এই পরিস্থিতিতে রাজপক্ষ পরিবারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে দেশে নতুন নির্বাচনের দাবি জানালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির চেয়ারম্যান মৈত্রীপালা সিরিসেনা (Maithripala Sirisena)। রবিবার মে দিবস উপলক্ষে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি দেশে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বলেন, “যখন দেশ চরম সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেই সময় রাজনৈতিক নেতাদের উচিত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের পক্ষ নেওয়া। সেই কারণে আমি শ্রমিক দিবসের এই মিছিলে পা মিলিয়েছি। দেশের ধনী থেকে শুরু করে গরিব মানুষেরা যখন চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, সরকারের বিরোধিতা করে পথে নামছেন, সেই সময়ও এই সরকার ক্ষমতা ছাড়ছে না। দেশে নতুন সরকার গড়তে চাই আমি, সেই কারণেও পথে নেমেছি। এই কাজ করেই দেখাব আমরা।”

দেশের মানুষের দুর্দশা দেখে তিনি আর ঘরে থাকতে পারছেন না, এ কথাও বলেন তিনি। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, “এই পোলোন্নারুয়ার কৃষকেরা দেশকে আত্মনির্ভর করতে চেয়েছিলেন, আজ তাঁরা চাষও করতে পারছেন না। আজ আমি মে দিবসের মিছিলে অংশ নিয়েছি শ্রমিক শ্রেণির কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে। শাসকদলের জন্য সাধারণ মানুষ, কৃষকেরা আজ এত সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।”

রাজাপক্ষ সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে, তবে আগামিদিনে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে বলেও তিনি জানান। সিরিসেনা বলেন, “বর্তমানে চরম খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়েছেন প্রায় ২-৩ লক্ষ মানুষ। আগামিদিনে লাখ লাখ মানুষ বাড়িতেই অনাহারে মারা যাবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমার কাছে ফোন আসছে, সকলেই খাবার চাইছেন।”

উল্লেখ্য, করোনাকালে পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ায় এবং বিদেশি ঋণের চাপে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এতবড় আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে যেখানে জ্বালানি, খাদ্যশস্য ফুরিয়ে গিয়েছে। ক্রমাগত জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, দিনের ১৩-১৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন দেশের বাসিন্দারা। চাপের মুখে পড়ে গোটা মন্ত্রিসভাই ইস্তফা দিলেও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষ এখনও ক্ষমতায় আসীন রয়েছেন।

আরও পড়ুন: Omicron Sub Variant: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টই ডেকে আনছে নতুন ঢেউ? 

আরও পড়ুন: British Parliament Controversy: আত্মগ্লানিতে ইস্তফা সাংসদের, স্বীকার করলেন আগেও সংসদে বসে পর্ন দেখেছেন!