Sri Lanka Crisis : দেশেই রয়েছেন লঙ্কার রাষ্ট্রপতি! রাতারাতি ইউ-টার্ন নিলেন স্পিকার
Sri Lanka Crisis : বিক্ষোভের মুখে রাষ্ট্রপতির বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছিলেন লঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। এদিন স্পিকারের অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বর্তমানে দেশেই রয়েছেন।
কলম্বো : বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। শনিবার এই দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোণা কোণা থেকে বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির হন। স্লোগান ওঠে ‘গোতা গো হোম।’ চরম বিশৃঙ্খলার ছবি দেখা যায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। তবুও দমানো যায়নি তাঁদের। রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা যায়, নিজের বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। তারপর রাষ্ট্রপতি ভবনের দখল নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। জানা যায়, দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এদিকে শ্রীলঙ্কার স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবরদেনাকে সোমবার সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে অবস্থান। তিনি পুরোপুরি ইউ-টার্ন নিয়ে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া এখনও দেশেই রয়েছেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে সোমবার রাষ্ট্রপতির দুবাই উড়ে যাওয়ার কথা জানা যাচ্ছিল। তবে এখনও তিনি যে দেশেই রয়েছেন তা জানিয়ে দিয়েছেন স্পিকার।
সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে শ্রীলঙ্কার স্পিকারের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের মধ্যে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হচ্ছে। স্পিকারকে সরকারি নির্দেশ দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি।’ আরও জানানো হয়েছে, ‘যেখানে দেশে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে সেখানে স্পিকারের মনে হয়েছে যে রাষ্ট্রপতি দেশে নেই। তাঁর নিরাপত্তার কারণেই অবস্থান জানানো হয়নি।’ শনিবার বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজি হন গোতবায়া রাজাপক্ষ। আগামী ১৩ জুলাই তিনি রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। নতুন সরকার গঠন হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে। এদিকে স্পিকার ঘোষণা করেছেন যে, আগামী ২০ জুলাই নয়া রাষ্ট্রপতির নির্বাচন হবে।
চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে ডুবেছে দ্বীপরাষ্ট্র। খাবারের চড়া দাম। জ্বালানি না থাকায় শ্রীলঙ্কার হোটেলে কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালাতেও দেখা গিয়েছে। এদিকে জ্বালানির অভাবে সেখানে বিভিন্ন জায়গায় এমারজেন্সি অ্য়াম্বুলেন্স পরিষেবা থমকে যেতে দেখা গিয়েছে। পেট্রল পাম্পে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনেও দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে সেখানে।