Pakistan: ‘নেচেই চলেছে পাকিস্তান, তাও মিলছে না ৬০০ কোটি টাকা!’
Pakistan: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সব শর্ত বিনা আপত্তিতে মেনে নিলেও তারা তাদের প্রতিশ্রুতি মতো ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল দিচ্ছে না পাকিস্তানকে। গুরুতর অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।
ইসলামাবাদ: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের সুরে নাচছে পাকিস্তান। পাকিস্তান কিন্তু তাও আইএমএফ-এর পক্ষ থেকে ৬ বিলিয়ন অর্থাৎ ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল দেওয়া হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটির বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার (১১ জুলাই), আইএমএফ সম্পর্কে সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘সরকার এমন কিছু শর্ত মেনে নিয়েছে, যেগুলোর পক্ষে আমরা ছিলাম না। কিন্তু তাও আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিলের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি মতো আর্থিক প্যাকেজের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না।’
এই অবস্থায় অবিলম্বে ওই আর্থিক সহায়তার কিস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাক মন্ত্রী। ওই সহায়তা পেলে বর্তমানে পাকিস্তান যে কঠিন আর্থিক পরিস্থিতিতে পড়েছে, সেখান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। পাক মন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘পাকিস্তান বর্তমানে কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের স্বার্থে আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়।’ তাঁর আরও দাবি, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী পাক সরকার প্রতিহিংসা নেওয়া ছাড়া আর কিছুই করেনি।
বর্তমানে, ভয়ঙ্কর মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। সম্প্রতি মার্কিন ডলারের তুলনায় প্রায় ১৬.৫ শতাংশ মূল্য কমেছে পাকিস্তানি টাকার। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়া সত্ত্বেও, অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, ২০২২ সালে এশিয়ার মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থা পাকিস্তানি টাকারই। ব্যাপক ঋণের চাপে পাকিস্তানের চলতি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং ট্রেড বেফিসিট দুইই নেতিবাচক স্তরে আছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারও তলানিতে ঠেকেছে। এই অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার বজায় রাখা, আগের ঋণ পরিশোধ করা এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থিক বছরেই আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে ৫.৫ ট্রিলিয়ন, অর্থাৎ, ৫.৫ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি টাকা ধার নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
২০২২-২৩ সালের বার্ষিক বাজেট ঘোষণার সময়, পাক সরকার বলেছিল তারা আন্তর্জাতিক মহল থেকে ৩.১৭ ট্রিলিয়ন ডলার ধার করবে। তবে, বাজেটে আইএমএফ, সৌদি আরব এবং চিনের কাছ থেকে অর্থ ধারের হিসাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই উৎসগুলি থেকে পাওয়া অর্থ যোগ করলে তাদের আন্তর্জাতিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫.৫ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি টাকা। যা সরকারের বাজেট অনুমানের থেকে ৭৪ শতাংশ বেশি।