কাতার থেকে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা, বিমানবন্দর সচল করতে উদ্যোগী তালিবান, জারি বিজয় উৎসবও!
বুধবারও সবুজ রঙের হামভিস গাড়ির লম্বা লাইন দেখা য়ায় কান্দাহারের বাইরে একটি হাইওয়েতে। তালিবানের কাছে অস্ত্রবোঝাই গাড়িও দেখা যায়। প্রতিটি গাড়িতেই সাদা ও কালো রঙের তালিবানি পতাকা লাগানো। আকাশে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টারও উড়তে দেখা যায়।
কাবুল: গাড়িতে চেপে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে তালিবান। হাতে মার্কিন বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র। আফগানিস্তানে নিজেদের আধিপত্য জাহির করতেই বিজয় মিছিল করছে তালিব বাহিনী। এখনও অবধি সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও বিমানবন্দর সচল করতে উদ্যোগী তারা, বুধবারই কাতার থেকে এসেছেন বেশ কয়েকজন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট। তাদের সাহায্যেই শীঘ্রই ফের একবার কাবুল বিমানবন্দর সচল করার চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান।
৩১ অগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ৩০ অগস্টের মধ্যরাতেই কাবুল বিমানবন্দর থেকে শেষ মার্কিন বিমানটি উড়ান নেয়। এরপরই গোটা বিমানবন্দর দখল করে নেয় তালিবান বাহিনী। মঙ্গলবারই তালিবান মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদকে একদল সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিমানবন্দরের ভিতরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। মার্কিন বাহিনীর ফেলে যাওয়া স্পেশাল কমব্যাট ফোর্সের পোশাক পরেই তালিব বাহিনীকে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা হেলিকপ্টারগুলির ভিতরে ঢুকতে ও যন্ত্রপাতি ঘাটাঘাটি করে তা ওড়ানোর চেষ্টা করতেও দেখা যায়। তালিবানের “বাদরি ৩১৩” নামক স্পেশাল ফোর্সের গোটা বাহিনীকেই ছবি তুলতে দেখা যায়, তালিবানের সাদা পতাকা এবং মার্কিন রাইফেল হাতে হাসিমুখে ছবি তুলতে।
বুধবারও সবুজ রঙের হামভিস গাড়ির লম্বা লাইন দেখা য়ায় কান্দাহারের বাইরে একটি হাইওয়েতে। তালিবানের কাছে অস্ত্রবোঝাই গাড়িও দেখা যায়। প্রতিটি গাড়িতেই সাদা ও কালো রঙের তালিবানি পতাকা লাগানো। আকাশে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টারও উড়তে দেখা যায়। নীচ থেকে তালিবান বাহিনীকে হাত নাড়তে দেখে বোঝা যায় যে ওই হেলিকপ্টারগুলিও তাদের দখলে চলে গিয়েছে। সম্প্রতিই কান্দাহারের আকাশে একটি মার্কিন ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারও উড়তে দেখা গিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, হেলিকপ্টারটি তালিবানের কবজায় থাকলেও তারা সেটি ওড়াতে জানে না। আফগান সেনার কোনও সদস্যই হেলিকপ্টারটি ওড়াচ্ছিলেন।
অন্যদিকে, তালিবানের দখল নেওয়ার পরই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে তালিবানের শীর্ষ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা আসবেন। কিন্তু শেষমেশ তিনি প্রকাশ্যে আসেননি, কান্দাহারের নতুন গভর্নরই জনগণের উদ্দেশ্য়ে ভাষণ দেন।
একইসঙ্গে, বাকি বিশ্বের সঙ্গে ফের একবার সংযোগ স্থাপন করতে কাবুল বিমানবন্দর সচল করার চেষ্টা করছে তালিবানিরা। মঙ্গলবার বিমানবন্দরের যে চিত্রগুলি সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দর। টার্মিনাস থেকে শুরু করে লাউঞ্জ- সবকিছুই ভাঙচুর করে রাখা। তবে সংস্কার নয়, তালিবানের আপাতত লক্ষ্য বিমান পরিষেবা চালু করা। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর বুধবারই প্রথম কোনও বিমান নামল কাবুল বিমানবন্দরে। কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে একদল টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কোন বাহিনীর হাতে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ থাকবে, তা নিয়েও তালিবানের অন্দরে টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে, সরকার গঠন নিয়েও এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন: Afghanistan Cricket: ক্রিকেটে ‘হ্যাঁ’ তালিবানের, টেস্ট খেলতে অজিদের দেশে যাবেন রশিদরা