Imran Khan: ‘এবার আমি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠব’, প্রকাশ্য জনসভা থেকে কাদের নিশানা করলেন ইমরান?
Imran Khan: ক্ষমতা হারানোর পর বুধবার প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। পেশোরারে একটি জনসভায় ইমরানের গলায় ছিল চড়া সুর।
পেশোয়ার: অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের (Pakistan) গদি থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফ (Shabaz Sharif) শপথ নিয়েছেন। কিন্তু তাসত্ত্বেও হার মানতে রাজি নন পাকিস্তানের অধুনা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। কুর্সি হারিয়েও তাঁর রোয়াব যে এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে প্রকাশ্য জনসভা থেকে তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (Pakistan Tehrik-E-Insaf) চেয়ারম্যান। বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়েও ইমরানের গলায় ছিল চড়া সুর। বিচার ব্যবস্থাকে তাঁর প্রশ্ন, ‘শনিবার মাঝরাতে সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলার পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল?’ গত শনিবার পাকিস্তানে রাজনৈতিক নাটক চরমে ওঠে। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে মাঝরাতেই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরানে থেকে গদি কেড়ে নেওয়া হয়। ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল অনাস্থা ভোট করাতেই হবে।
ক্ষমতা হারানোর পর বুধবার প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। পেশোরারে একটি জনসভায় ইমরানের গলায় ছিল চড়া সুর। তিনি বলেন, “বিচার ব্যবস্থার কাছে আমার প্রশ্ন মাঝরাতে কেন আপনার আদালতের দরজা খুললেন? এই দেশ ৪৫ বছর ধরে আমাকে চেনে। আমি কি কখনও আইন ভেঙেছি? আমি যখন ক্রিকেট খেলতাম, কেউ কি বলতে পারবে যে আমি ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম? যখন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় তখন জনগণ সেটা উদযাপন করে, কিন্তু অপসারণ করা হলে জনতা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে।” তাঁর অভিযোগ বিদেশি শক্তির মদতে ওয়াশিংটনের বসে বিরোধীরা তাঁর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কাজ করেছেন।
ইমরান জানিয়েছেন তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে অনেকেই খুশি, কিন্তু এখানেই সবটা শেষ নয়। “আমি যখন সরকারের অংশ ছিলাম তখন আমি ভয়ঙ্কর ছিলাম না, কিন্তু এখন থেকে আমি অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠব… আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করা সরকার মেনে নেব না। এবং রাস্তায় নেমে দেশের সাধারণ মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে যে তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। আমার ২৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি কখনই জনগণকে বিচারব্যবস্থা বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উস্কানি দিইনি। আমি জানতে চাই আমি কী এমন অপরাধ করেছি যে মাঝরাতে আদালতের দরজা খুলতে হল? শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ৪০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা রয়েছে। আপনাদের মনে হয়, তাঁকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেব?”
আরও পড়ুন Bangladesh News: মর্মান্তিক ঘটনা! বাবার গাড়িতেই পিষে গেল ছোট্ট ছেলে