War Tank: ইউক্রেনকে শক্তিশালী যুদ্ধের ট্যাঙ্ক পাঠাবে আমেরিকা
Russia-Ukraine War: রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গত কয়েক মাস ধরেই পশ্চিমী দুনিয়ার থেকে অস্ত্র সাহায্য চেয়েছে ইউক্রেন। সে দেশের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একাধিক বার এ নিয়ে দরবার করেছেন।
ওয়াশিংটন: এক বছর হতে চললেও এখনও রাশিয়া ও ইউক্রেনের দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি। কিয়েভ দখল না করতে পারলেও ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা এখনও চালাচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের সেনাবাহিনী। পশ্চিমী দুনিয়ার থেকে অস্ত্র সাহায্য পেয়ে রাশিয়াকে প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেন। আমেরিকা সফরে গিয়ে অস্ত্র সাহায্য চেয়েছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। আমেরিকান কংগ্রেসও সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল। এ বার যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে শক্তিশালী যুদ্ধ ট্যাঙ্ক পাঠানোর কথা জানালো আমেরিকা। ৩১টি ট্যাঙ্ক ইউক্রেনকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। এর কদিন আগেই জার্মানি ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্যের কথা ঘোষণা করে। জার্মানিও যুদ্ধের ট্যাঙ্ক দেওয়ার কথা জানায়। তার পরই এই ঘোষণা হোয়াইট হাউসের।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গত কয়েক মাস ধরেই পশ্চিমী দুনিয়ার থেকে অস্ত্র সাহায্য চেয়েছে ইউক্রেন। সে দেশের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একাধিক বার এ নিয়ে দরবার করেছেন। ন্যাটো সহযোগী বিভিন্ন দেশের কাছে। রাশিয়া এখনও ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকার দখল রেখেছে। সেই এলাকা রুশ সেনার দখলমুক্ত করতেই অস্ত্র চাইছে ইউক্রেন সেনা। এই সাহায্যের ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বসিত জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, “জয়ের পথে হাঁটতে খুব গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপ। আজ মুক্ত বিশ্ব একত্রিত। ইউক্রেনের লিবারেশনের জন্য একত্রিত।”
যদিও আমেরিকা ও জার্মানির পদক্ষেপে মোটেই খুশি নন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়া এর আগেও বার বার পশ্চিমী দুনিয়াকে হুমকি দিয়েছে ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ানোর এবং অস্ত্র সাহায্য না করার। এই পদক্ষেপকে ‘উস্কানিমূলক’ বলেও অভিহিত করেছে মস্কো। তবে আমেরিকার ট্যাঙ্ক এনে বিশেষ লাভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। পুতিনের মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, “বাকি ট্যাঙ্কের মতো এই ট্যাঙ্কও ধ্বংস হবে। খুব দামি ওই ট্যাঙ্ক। কিন্তু সে গুলিকে নষ্ট করতে পাঠাচ্ছে।”