Bangladesh: ‘আমি কী করতে পারি! সব চেষ্টাই করলাম’, নয়া কৌশলে চিন্ময়কৃষ্ণকে বিপাকে ফেললেন কট্টরপন্থী আইনজীবীরা
Bangladesh: চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর আইনজীবীর মাস্টার দা চট্টগ্রামের মানবাধিকার রক্ষার নির্ভীক লড়াই করলেও শেষপর্যন্ত সেখানকার কট্টরপন্থী আইনজীবীদের নয়া কৌশলে সব চেষ্টা বৃথা। যখন তিনি গিয়ে আদালতে পৌঁছন, সেখানে আগে থেকেই ৪০-৫০ জন আইনজীবী ছিলেন।
বাংলাদেশ: চিন্ময়কৃষ্ণকে জেলবন্দি রাখতে ইউনূসের দেশে কট্টরপন্থী আইনজীবীদের নয়া কৌশল। চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীকে সওয়ালে বাধা। যার জেরে চট্টগ্রাম আদালতে বৃহস্পতিবারও শোনা হল না জেলবন্দি চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন শুনানি এগনোর আর্জি।
চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর আইনজীবী জামিন সওয়ালের আপ্রাণ চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত কট্টরপন্থী আইনজীবী ও জজ সাহেবের তোলা অদ্ভুত দাবির মুখে আজকের মতো রণেভঙ্গ দেন। যখন তিনি আদালতে পৌঁছন, সেখানে তখন আগে থেকেই ৪০-৫০ জন আইনজীবী ছিলেন। তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, তা স্পষ্ট ছিল না। তবে তাঁদেরই উপস্থিতিতে নয়া কৌশল অবলম্বন করা হয়। এমনকি দেখা হলেও, চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলতে দেওয়া হয়নি।
চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, “আজকে হঠাৎ জজ সাহেব বললেন, চট্টগ্রাম থেকে একজন আইনজীবী লাগবে। কিন্তু তা তো লাগার কথা নয়। প্রসিকিউশনের ৫০ জন আইনজীবী ছিলেন।তাঁরাও বলা শুরু করলেন, না এমনটা করা যাবে না। চট্টগ্রাম থেকে আইনজীবী লাগবে। আমি আসলে চট্টগ্রাম বারে প্র্যাকটিস করি না, সুপ্রিম কোর্ট বারে প্র্যাকটিস করি। বার মেম্বার। তাহলে তো সারা দেশেই মুভ করতে পারে। এখন যদি আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে আমি কী করতে পারি! সব শুনে জজ সাহেব এটা পেন্ডিং রেখে দিলেন। অর্ডার দিলেন না।” বিচারব্যবস্থা তাহলে কি প্রভাবিত হচ্ছে? সেটা শুনেই চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী বললেন, “আমার তো সেরকমই একটা মনে হচ্ছে, আমি মর্মাহত হলাম।” ২ জানুয়ারি হবে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মামলার শুনানি।