Murder Case: একরত্তি মেয়েকে থেঁতলে খুন, মৃতদেহের পাশে বসেই মাদক সেবন করলেন বাবা!
Crime News: মেয়ে যখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, তখন গাড়িতে বসেই মনের সুখে খাবার খান অ্যাডাম। মেয়ের মৃত্যুর পরও নিরুত্তাপ ছিলেন। মৃতদেহের পাশে বসেই মাদক সেবন করেন। স্ত্রী যখন মেয়ের খোঁজে পুলিশের দরজায় ঘুরছিলেন, তখন অ্যাডাম মেয়ের মৃতদেহ ব্যাগে ভরে রোজ যে রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন, সেখানে নিয়ে যেতেন। ডিউটির সময়টুকু ফ্রিজারে কাঁচা মাছ-মাংসের পাশেই রেখে দিতেন।
নিউ হ্যাাম্পশায়ার: স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল একরত্তি, হঠাৎই গাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় ৫ বছরের শিশুকন্যা। তন্নতন্ন করে খুঁজে, পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই শিশুকন্যার। দুই বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ যখন তদন্তে ইতি টানবে বলে ভাবছিল, তখনই মিলল প্রথম ‘ক্লু’। সেই সূত্র ধরেই উদঘাটন হল রহস্য। যা যা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল, তাতে স্তম্ভিত পুলিশ। জানা গেল, নিজের একরত্তি মেয়েকে খুন করেছে তাঁর বাবা। খুনের পর মৃতদেহের পাশে বসেই খেয়েছেন খাবার, মাদক সেবনও করেছেন। এরপর দিনের পর দিন ধরে সেই দেহ নিয়ে ব্যাগে করে ঘুরে বেড়ালেন বিভিন্ন জায়গায়। জমিয়ে রাখতেন ফ্রিজে। আবর্জনার মতোই মেয়ের দেহের অংশগুলি ফেলে দিতেন।
ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার নিউ হ্য়াম্পশায়ারে। অ্যাডাম মন্টগোমারি নামক ওই যুবকের বিরুদ্ধে তাঁর ৫ বছরের কন্য়া হারমোনিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, গাড়িতেই শৌচকর্ম করে ফেলেছিল হারমোনি। সেই রাগেই মেয়েকে ব্যাপক মারধর করে অ্যাডাম, মেরে থেঁতলে দেয় মুখ।
মেয়ে যখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, তখন গাড়িতে বসেই মনের সুখে খাবার খান অ্যাডাম। মেয়ের মৃত্যুর পরও নিরুত্তাপ ছিলেন। মৃতদেহের পাশে বসেই মাদক সেবন করেন। স্ত্রী যখন মেয়ের খোঁজে পুলিশের দরজায় ঘুরছিলেন, তখন অ্যাডাম মেয়ের মৃতদেহ ব্যাগে ভরে রোজ যে রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন, সেখানে নিয়ে যেতেন। ডিউটির সময়টুকু ফ্রিজারে কাঁচা মাছ-মাংসের পাশেই রেখে দিতেন।
রেস্তোরাঁর কর্মীদের সন্দেহ হলেও, অ্যাডামকে প্রশ্ন করার সাহস দেখাননি কেউ। জানা গিয়েছে, কখনও বন্ধুর গাড়ির ডিকিতে, কখনও শাশুড়ির ফ্ল্যাটে ফ্রিজারে মেয়ের দেহ লুকিয়ে রাখতেন অ্যাডাম। এমনকী, গৃহহীনদের জন্য যে শেল্টার রয়েছে, সেখানে বাতাস চলাচলের ভেন্টেও দেহ ভরে রাখেন। শেষে দেহটি সম্পূর্ণ পচে গেলে, অজ্ঞাত এক জায়গায় মেয়ের দেহ ফেলে আসেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ওই শিশু। বছরের পর বছর ধরে পুলিশ ওই শিশুর খোঁজ করছিল। তারা কখনও আন্দাজই করেননি যে শিশুটির বাবাই তাঁকে খুন করেছে। ২০২২ সালে রহস্য উদঘাটন হয়। এখনও মামলার শুনানি চলছে।