USA: প্রাক্তন স্ত্রীর সমাধিতে প্রতিদিন প্রস্রাব করেন এই ব্যক্তি, বিবাহ বিচ্ছেদের ৪৮ বছর পর!
US man caught urinating on ex-wife's grave: গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ল, বিবাহ বিচ্ছেদের ৪৮ বছর পর এক ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর সমাধিতে প্রতিদিন মল-মূত্র ত্যাগ করছেন।
ওয়াশিংটন: ২০১৭ সালে ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছিল লিন্ডা লুইস টোরেলোর। তাঁকে নিউ ইয়র্কের অরেঞ্জটাউনের তাপ্পান রিফর্মড চার্চের কবরস্থানে সমাহিত করেছিলেন তাঁর ছেলে মাইকেল মারফি। কিন্তু, সম্প্রতি দারুণ সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। ফেসবুকে তিনি জানিয়েছিলেন, এক ব্যক্তি প্রায় প্রতিদিনই তাঁর মায়ের সমাধিতে আসছেন। মায়ের সমাধির উপর মল ভরা ব্যাগ রেখে যাচ্ছেন, মূত্রত্যাগ করে যাচ্ছেন!
এই বিপত্তির শুরু হয়েছিল অগ্নিপরীক্ষা শুরু হয়েছিল কয়েক মাস আগে। মাইকেল তাঁর মায়ের সমাধিতে একটি মল ভরা ব্যাগ খুঁজে পেয়েছিলেন। প্রথমে তিনি মনে করেছিলেন, সম্ভবত কুকুর হাঁটাতে এসে কেউ ভুলবশত ব্যাগটি সেখানে রেখে গিয়েছে। কিন্তু, এর পরদিন মায়ের সমাধিতে গিয়ে মাইকেল একইরকম আরেকটি মল-মূত্র ভরা ব্যাগ খুঁজে পেয়েছিলেন। কয়েকদিন এরকম চলার পর মাইকেল স্থানীয় পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। পুলিশ ওই কবরস্থানে একটি গোপন ক্যামেরা স্থাপন করেছিল।
আর তাতেই ধরা পড়ে, প্রতিদিন এক ব্যক্তি একটি এসইউভি গাড়ি নিয়ে ওই কবরস্থানে আসেন। গাড়ি থেকে নেমে সোজা লিন্ডা লুইস টোরেলোর সমাধির দিকে এগিয়ে আসেন। তারপর ট্রাউজার নামিয়ে সমাধিতে প্রস্রাব করেন, অথবা মলমূত্র ভরা ব্যাগ ফেলে যান। এমনকি, তাঁর এই ‘স্বাভাবিক রুটিনে’ তাঁকে সহায়তা করেন তাঁর স্ত্রী! ভিডিয়ো দেখে অবশ্য ওই ব্যক্তিকে শনাক্তও করতে পেরেছেন মাইকেল। তিনি নিউ জার্সির বার্গেন কাউন্টির বাসিন্দা, মাইকেলের সত বাবা!
১৯৭০-এর দশকে মাইকেলের মায়ের সঙ্গে ওই ব্যক্তির বিয়ে হয়েছিল। তবে তা বেশিদিন টেকেনি। লিন্ডা গর্ভবতী হওয়ার পর, তিনি জানিয়েছিলেন সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে চান না। ১৯৭৬ সালের পর থেকে তাঁদের পরিবারের কারোর সঙ্গে ওই ব্যক্তির কোনও যোগাযোগ ছিল না বলে দাবি করেছেন মাইকেল। কিন্তু প্রায় ৫০ বছর পর তিনিই ফের মাইকেলদের পরিবারে সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছেন।
ফেসবুকে মাইকেল বলেছেন, “তিনি কীভাবে আমার মায়ের সমাধিস্থল খুঁজে পেয়েছে, সেই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। তবে প্রায় ৫০ বছর আগের একটি সমস্যা ফিরে এসেছে। আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন! আমাদের কাছে কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাসের প্রমাণ রয়েছে। পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমকে সবটা জানানো হয়েছে।” এই জঘন্য কাজে ওই ব্যক্তির স্ত্রী যেভাবে তাঁকে সাহায্য করছেন, সেটা মাইকেলদের আরও অবাক করেছে।
তবে, পুলিশ মাইকেলকে জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ কিছু করনীয় নেই। কারণ শারীরিক হিংসার কোনও নির্দিষ্ট হুমকি নেই। বর্তমানে মাইকেল আদালতে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, কেন বিবাহবিচ্ছেদের ৪৮ বছর পর, ওই ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর সমাধিতে মল-মূত্র ত্যাগ করছেন, তা এখনও জানা যায়নি।