US Returns Artefacts to India: ‘ঘরে ফেরার পালা’, মার্কিন মুলুক থেকে দেশে আসছে ৮৪,৪১,৮৫০০০ কোটি টাকা!
US Returns Artefacts to India: একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস জানিয়েছে এই শিল্পকর্ম ফেরানোর সঙ্গে অবৈধ পাচারচক্রগুলি নিয়েও তদন্ত চলছে।
এক সময়ে ভারত থেকেই চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল সাহেবরা। এবার সেই সব প্রত্ন বস্তু ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা। জানা গিয়েছে দক্ষিণ এবগ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে চুরি করে আনা বা লুট করে আনা নানা আর্টওয়ার্ক এবার সেই সব দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার সরকার। সেই প্রকল্পের অধীনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনই ভারত থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া ১৪০০ টি শিল্পকর্ম ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৪ কোটি ৪১ হাজার ৮৫ হাজার টাকা।
সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া পাচারকৃত পণ্যগুলির মধ্যে এমন জিনিস রয়েছে যা সম্প্রতি নিউইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টে দেখা গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নৃত্যরত এক মহিলার বেলেপাথরের ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি মধ্য ভারত থেকে লন্ডনে পাচার করা হয়েছিল। যা মেটের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে একজনের কাছে অবৈধভাবে বিক্রি হওয়ার আগে যাদুঘরে দান করা হয়েছিল।
একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস জানিয়েছে এই শিল্পকর্ম ফেরানোর সঙ্গে অবৈধ পাচারচক্রগুলি নিয়েও তদন্ত চলছে। সম্প্রতি ন্যান্সি ওয়েনার এবং সুভাষ কাপুর, দুই অ্যান্টিক ডিলার সেই কারণে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। এরা দু’জন নিউইয়র্ক গ্যালারির মাধ্যমে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের পাচারচক্র চালাত।
এই খবরটিও পড়ুন
২০১১ সালে জার্মানিতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর, সুভাষ কাপুরকে তামিলনাড়ুতে পাঠানো হয়। ‘ইউএস দা’-এর কার্যালয় ২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তবে এখনও সুভাষ ভারতের হেফাজতেই রয়েছে।
নিউইয়র্কের ভারতীয় কনস্যুলেটে অনুষ্ঠান করে পাচার হওয়া সামগ্রী ফেরত দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে বেআইনি বাণিজ্য রোধ করে এবং পাচার হওয়া ভাস্কর্য ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এবং সাংস্কৃতিক সম্পত্তি রক্ষা করার স্বার্থে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
সেপ্টেম্বর মাসেই ভারত থেকে চুরি যাওয়া ২৯৭টি ভাস্কর্য ফিরিয়ে সেয় আমেরিকা। শিল্পকর্মগুলি ২০০০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে প্রায় ৪০০০ বছরের সময়কালে তৈরি করা হয়েছিল। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেই ভাস্কর্য চুরি করে পাচার করা হয়। তবে ভাস্কর্য পূর্ব ভারতের টেরাকোটার কাজের তৈরি। বাকি সামগ্রীগুলি পাথর, ধাতু, কাঠ এবং হাতির দাঁতের তৈরি ও দেশের নানা প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।
বিদেশ মন্ত্রক সেপ্টেম্বর মাসেই একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “সাম্প্রতিক সময়ে, সাংস্কৃতিক সম্পত্তির পুনরুদ্ধার ভারত-মার্কিন সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ও বিনিময়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সাল থেকেই, মার্কিন সরকার বিপুল সংখ্যক পাচার ও চুরি হওয়া ভাস্কর্য ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতকে। ২০১৬ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় ১০টি ভাস্কর্য ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে মার্কিন সফরের সময় ১৫৭টি ভাস্কর্য এবং গত বছর জুন মাসে ১০৫টি ভাস্কর্য ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে”
সেই বিবৃতিতেই আরও জানানো হয় যে, “২০১৬ সাল থেকে আমেরিকা ভারতকে মোট ৫৭৮টি ভাস্কর্য ফিরিয়ে দিয়েছে। এককভাবে কোনও দেশের ফেরত দেওয়া ভাস্কর্যের সংখ্যা হিসাবে এটাই সর্বাধিক।”