AI Software Engineer: ইন্টারভিউ দিয়ে একের পর এক চাকরি পেল বিশ্বের প্রথম এআই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার!
World's 1st AI Software Engineer: এবার বোধহয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদেরও মালপত্র গুছিয়ে বাড়ি যাওয়ার পালা। আত্মপ্রকাশ করল বিশ্বের প্রথম 'এআই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার', ডেভিন। মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা 'কগনিশন' তৈরি করেছে এই নতুন এআই টুল বা এআই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে। ডেভিন এতটাই স্মার্ট যে, মাত্র একটি প্রম্পট দিলেই সে কোড লিখতে, ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে।

ওয়াশিংটন: গত সপ্তাহেই কেরলে দেখা গিয়েছিল ভারতের প্রথম এআই শিক্ষককে। যার পর থেকে কাজ হারানোর ভয় পেতে শুরু করেছেন শিক্ষকরা। এবার বোধহয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদেরও মালপত্র গুছিয়ে বাড়ি যাওয়ার পালা। আত্মপ্রকাশ করল বিশ্বের প্রথম ‘এআই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’, ডেভিন। মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা ‘কগনিশন’ তৈরি করেছে এই নতুন এআই টুল বা এআই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে। ডেভিন এতটাই স্মার্ট যে, মাত্র একটি প্রম্পট দিলেই সে কোড লিখতে, ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। নির্মাতাদের দাবি, তাকে যা করতে বলা হয়, মোটামুটি সে সবই করতে পারে। যদিও, ‘কগনিশন’-এর দাবি, এই এআই টুলের উদ্দেশ্য মানব ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতিস্থাপন কর নয়। বরং, তাদের সঙ্গে হাতে-হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্যই এটি নকশা করা হয়েছে। কিন্তু তার যা পারফরম্যান্স, দেখে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের বুক ছ্যাঁত করে উঠতেই পারে।
কগনিশন জানিয়েছে, ডেভিন এডব্লুই-বেঞ্চ কোডিং বেঞ্চমার্কের উপর ভিত্তি করে তৈরি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন কাজ মূল্যায়নের সবথেকে উন্নত এবং অত্যাধুনিক সমাধান। শীর্ষস্থানীয় এআই সংস্থাগুলিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ডেভিন ইন্টারভিউ দিয়েছে। সেখানে, তাকে এআই এবং সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রের বাস্তবসম্মত এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কাজ এবং চ্যালেঞ্জের সমাধান করতে দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্নকর্তাদের নিরাশ করেনি সে। সবকটি কাজ ও চ্যালেঞ্জের সমাধান করে দেখিয়েছে। এমনকি আপওয়ার্ক সংস্থায় সম্পূর্ণ করেছেন বাস্তব জীবনের কাজও করে দেখিয়েছে। যে কোনও সমস্যার সমাধানে, আগেভাগে চিন্তা করতে পারে ডেভিন। জটিল থেকে জটিলতর সমস্যার সমাধান করতে পারে। অল্প সময়ের মধ্যেই হাজার হাজার সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে, নিজের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আরও উন্নত করতে পারে।

ডেভিনকে তৈরি করেছে কগনিশন সংস্থা
একজন মানব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার যে যে সরঞ্জাম ব্যবহার করে, সেই কোড এডিটর বা ব্রাউজারের মতো সরঞ্জামগুলি ডেভিনের নখদর্পণে রয়েছে। কাজেই সে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম। এর আগে, একই কাজে যে সমস্ত এআই টুল ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে ডেভিন। বাস্তব পৃথিবীর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের প্রায় ১৪ শতাংশের সমাধান করেছে ডেভিন। তার পূর্বসূরিদের সাফল্য ছিল ২ শতাংশেরও কম। কোনও নতুন প্রযুক্তি শেখা, অ্যাপ তৈরি করা, কোনও কোডের ভিতর থেকে মুহূর্তে ক্ষতিকারক বাগ খুঁজে বের করা এবং ঠিক কোডটিকে ঠিক করার মতো কাজ করতে সক্ষম ডেভিন। এমনকি সে তার নিজস্ব এআই মডেলগুলিকে প্রশিক্ষণও দিতে পারে এবং ওপেন সোর্স প্রোজেক্টের সমস্যাগুলির সমাধানও করতে পারে। সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের একটিমাত্র কমান্ড থেকে সে একটি কার্যকরী ওয়েবসাইট বা সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামে তৈরি করতে পারে।
সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জগতে ডেভিনকে ‘গেম-চেঞ্জার’ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, ডেভিনের জন্য মানব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হরানোর ভয় নেই বলে দাবি কগনিশনের। মানব ইঞ্জিনিয়ারদের সে রিয়েল-টাইম আপডেট দেবে, নকশা করতে সহায়তা করবে। কোডে কোনও বাগ থাকলে অনেক দ্রুত তা শনাক্ত করে সংশোধন করবে। অর্থাৎ, রুটিন কাজগুলি সে নিজে-নিজেই করে দেবে। এর ফলে, আরও জটিল সমস্যাগুলির সমাধানে মন দিতে পারবেন মানব ইঞ্জিনিয়াররা। কাজেই, মানুষকে প্রতিস্থাপন করার পরিবর্তে, ডেভিন মানুষের দক্ষতার পরিপূরক হয়ে উঠবে। মানব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের আরও উত্পাদনশীল এবং দক্ষ করে তুলবে।
