US-China Relation: ‘আগুন নিয়ে খেললে পুড়ে যেতে হবে’, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে হুঁশিয়ারি জিংপিংয়ের

USA_China: বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তাইওয়ান প্রসঙ্গে বাইডেনকে জিংপিং বলেন, "আগুন নিয়ে যাঁরা খেলতে যান, তাঁদের পুড়ে যাওয়া অনিবার্য।

US-China Relation: 'আগুন নিয়ে খেললে পুড়ে যেতে হবে', বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে হুঁশিয়ারি জিংপিংয়ের
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 2:15 PM

বেজিং: তাইওয়ান নিয়ে দুই দেশের দ্বন্দ্বের মধ্যে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের (Xi Jingping) ২ ঘণ্টার টেলি-কথোপকথনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এল। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইডেনকে ‘আগুন নিয়ে খেলতে’ না করেছেন জিংপিং। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে হওয়া ২ ঘণ্টার ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বশাসিত তাইওয়ান নিয়ে দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্র নিয়ে চিন ও আমেরিকার ‘উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়’ বেশ কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক রাজনীতির চর্চায় রয়েছে। তাইওয়ানকে চিনা ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে মনে করে বেজিং।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তাইওয়ান প্রসঙ্গে বাইডেনকে জিংপিং বলেন, “আগুন নিয়ে যাঁরা খেলতে যান, তাঁদের পুড়ে যাওয়া অনিবার্য। আমি আশা করি আমেরিকা গোটা বিষয়টি বুঝতে পারবে।”, এমনটাই জানিয়েছে চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম জিংহুয়া নিউজ এজেন্সি। চিনা সংবাদমাধ্যম জিংপিংকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, ‘চিনা সরকারের অবস্থান এবং তাইওয়ান ইস্যু সামঞ্জস্যপূর্ণ। ১৪০ কোটি চিনা নাগরিকের দৃঢ় ইচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা যেন অক্ষুণ্ন থাকে।’ দেড় বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এই নিয়ে পঞ্চমবার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

সম্প্রতি মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে দুই দেশের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে চিনের গলায় হুমকির সুর শোনা গিয়েছিল। সাংবাদিক বৈঠক করে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছিলেন, “পেলোসি তাইওয়ান সফরের বিরোধিতা করছি আমরা। আমেরিকার কারণে চিনা সীমান্ত যদি কোনওভাবে বিপদের মুখে পড়ে তবে, তার পরিণাম ভুগতে হবে।” অন্যদিকে হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে তৈরি হওয়া উত্তেজনা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে জলের একটি সরু রেখা দ্বারা বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান দ্বীপে মার্কিন আধিকারিকরা নিয়মিত যাতায়াত করেন। পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ‘উস্কানি’ বলে মনে করছে বেজিং। যদিও বাইডেন প্রশাসনের তরফে হাউজ স্পিকারের এই সফরকে অনুমোদন করা হয়নি। আগামী দিনে তাইওয়ান নিয়ে দুই শক্তিধর রাষ্ট্রের সম্পর্ক কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।