Bangladesh: সংঘর্ষের মধ্যে কী করে মৃত্যু হল আইনজীবীর? উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ ইউনুস সরকারের
Bangladesh: বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনিস ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম-সহ সমস্ত বন্দর শহরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে আরও জোরদার করা হয় সেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রাম: অস্থির বাংলাদেশ। কিছুতেই যেন করা যাচ্ছে না শান্ত। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পরেই যেন আগুনে রীতিমতো ঘি পড়েছে। এরইমধ্যে চট্টগ্রামে অশান্তির আবহে মৃত্যু হয়েছে এক আইনজীবীর। বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা প্রথম আলো সূত্রে খবর, নিহত আইনজীবীর নাম সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ (৩৫)। তিনি সে দেশে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ প্রশাসনও।
বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনিস ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম-সহ সমস্ত বন্দর শহরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে আরও জোরদার করা হয় সেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ইউনুসের দাবি, যে কোনও মূল্যে দেশের মাটিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখতে তাঁর সরকার বদ্ধ পরিকর।
হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রের খবর, এদিন বেলা বারোটা নাগাদ চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। কিন্তু তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যায়। পাঠানো হয় জুডিশিয়াল কাস্টডিতে। যে সময় তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ সেই সময়ই আদালতের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর অনুগামীরা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে যান সাইফুল ইসলাম নামে ওই আইনজীবী।