ঋণের আবেদন করতে চলেছেন? তার আগেই বাড়িয়ে নিন আপনার Credit Score!
Credit Score: ক্রেডিট স্কোর সাধারণত ৩০০ থেকে ৯০০-এর মধ্যে থাকে। ৭৫০-এর বেশি ক্রেডিট স্কোর হলে তাকে সাধারণত ভাল বলেই মনে করা হয়।

কোনও ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ বা ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার ক্ষেত্রে ক্রেডিট স্কোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। সিবিল, এক্সপেরিয়ন ও সিআরআইএফ হাই মার্কের মতো কিছু সংস্থা এই ক্রেডিট স্কোর মূল্যায়ন করে। কিন্তু নতুন লোন নেওয়ার আগে ক্রেডিট স্কোর যদি খুব ভাল থাকে তাহলে অনেক কম সুদে লোন পাওয়া যায়। আবার দারুণ কোনও ক্রেডিট কার্ডের জন্য কেউ অ্যাপ্লাই করে অতি সহজেই সেই কার্ড পেতে পারেন তিনি।
ক্রেডিট স্কোর সাধারণত ৩০০ থেকে ৯০০-এর মধ্যে থাকে। ৭৫০-এর বেশি ক্রেডিট স্কোর হলে তাকে সাধারণত ভাল বলেই মনে করা হয়। আর ক্রেডিট স্কোর ভাল হলে সহজে লোন পাওয়া যায়। কোনও ব্যক্তির ক্রেডিট ইতিহাসের উপর ভিত্তি করেই ক্রেডিট স্কোর তৈরি হয়।
ক্রেডিট স্কোর ভাল হলে লোনের অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও কম সুদে লোনও পাওয়া যায়। ৬০০-এর নীচে ক্রেডিট স্কোর হলে ঋণ পাওয়া বেশ কঠিন বলেই মনে করা হয়। কিন্তু ক্রেডিট স্কোর কীভাবে বাড়ে?
সময় মতো ক্রেডিট কার্ডের বিল ও কোনও লোনের ইএমআই শোধ করলে ক্রেডিট স্কোরের উপর তার প্রভাব পড়ে। কোনও পেমেন্ট যদি মিস হয় তাহলে ওই ব্যক্তির ক্রেডিট স্কোর দুম করে ৫০ থেকে ১০০ কমে যেতে পারে। ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাত কম রাখতে হবে। ক্রেডিট ব্যবহার সম সময় ক্রেডিট লিমিটের ৩০ শতাংশের নীচে রাখা উচিৎ। অর্থাৎ, লিমিট যদি ১ লক্ষ টাকা হয় তাহলে ৩০ হাজার টাকার বেশি কেনাকাটা করা ঠিক নয়।
পুরনো ক্রেডিট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলে হবে না। কারণ, ক্রেডিট ইতিহাস ছোট হয়ে গেলে তা ক্রেডিট স্কোরও কমিয়ে দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে একাধিক ঋণ বা ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করলে তার প্রভাব পড়ে ক্রেডিট স্কোরে। ফলে এই ধরণের ভুল এড়িয়ে চললে ক্রেডিট স্কোর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
