Bangladesh Air Force, Chinese Fighter Jet: ২০টি চিনা যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ, তলে তলে কী শয়তানি ইউনূসের?
Bangladesh, Muhammad Yunus: জানা গিয়েছে যে প্রতিটি ফাইটার জেটের দাম ৬ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, শুধু ২০টি যুদ্ধবিমানের মোট দাম পড়বে ১২০ ডলার বা ১৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। বাকি খরচ হবে প্রশিক্ষণ অন্যান্য সরঞ্জাম ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য।

হঠাৎই সামনে এসেছে একটি খবর। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার বা ২৬ হাজার ৮০০ কোটি বাংলাদেশি টাকার বিনিময়য়ে চিন থেকে ২০টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে ঢাকা। সে দেশের সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত একটি সরকারি নথি থেকেই এই তথ্য জানা গিয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে যে প্রতিটি ফাইটার জেটের দাম ৬ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, শুধু ২০টি যুদ্ধবিমানের মোট দাম পড়বে ১২০ ডলার বা ১৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। বাকি খরচ হবে প্রশিক্ষণ অন্যান্য সরঞ্জাম ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য।
জানা গিয়েছে, এই যুদ্ধবিমানের ডেলিভারি শুরু হতে পারে ২০২৬ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে। আর বিমানের দাম বাংলাদেশ মেটাবে আরও ১০ বছর ধরে। অর্থাৎ, ২০৩৬ সালের মধ্যে বিমানের সম্পূর্ণ দাম মিটিয়ে দেবে তারা। যদিও এই নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করেনি বাংলাদেশের সরকার। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে এত গোপনীয়তা কেন রাখা হচ্ছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে বাংলাদেশের বিমান বাহিনীতে ৪৪টি ফাইটার জেট রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি হল পুরনো চিনা এফ ৭ ফাইটার জেট। এই ফ ৭ জেট আসলে রাশিয়ান মিগ ২১ যুদ্ধবিমানের চিনা কপি যা লাইসেন্স নিয়ে ও রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করেছিল তারা। তাদের কাছে রয়েছে আরও ৮টি মিগ-২৯এস।
যদিও বাংলাদেশের এই বিমান বাহিনী ভারতের পাশে একেবারেই শিশু। এই মুহূর্তে ভারত ৫২২টি ফাইটার জেট অপারেট করে। যার মধ্যে রয়েছে ২৮টি রাফাল, ৩১টি তেজস, ৫২টি মিগ-২৯ ও ২৫৯টি সুখোই-৩০ বা সুপার সুখোই। এ ছাড়াও রয়েছে জাগুয়ার ও মিরাজের মতো যুদ্ধবিমান। তবে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই ২০টি যুদ্ধবিমান ঠিক কী কাজে তারা ব্যবহার করবে, সেটা নিয়ে এখনও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
