আজই সতর্ক হন, মাস শেষে ৯ দিনের মধ্যে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাওয়া যাবে মাত্র ২ দিন

বর্তমানে মাসের চারটি রবিবার ও দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার ব্যাঙ্কিং (Banking) পরিষেবা পাওয়া যায় না।

আজই সতর্ক হন, মাস শেষে ৯ দিনের মধ্যে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাওয়া যাবে মাত্র ২ দিন
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 25, 2021 | 1:32 PM

কলকাতা: মাস শেষের জন্য ব্যাঙ্কের কাজ ফেলে রাখলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকে পরবর্তী রবিবার পর্যন্ত এই ন’দিনের মধ্যে ব্যাঙ্ক (Bank) গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য মাত্র খোলা থাকছে মাত্র ২ দিন। এই দু’দিন হল ৩০ মার্চ ও ৩ এপ্রিল।

যদিও এই সময়ের মধ্যে এটিএম পরিষেবা বিঘ্নিত হবে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন ব্যাঙ্ককর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের পরিষেবা বন্ধ থাকলেও এটিএমে নিয়মিত টাকা যাতে থাকে, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। ফলে সেদিক থেকে সমস্যা কিছু হবে না। বাকি সাত দিনই ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে। ফলে ২৬ তারিখের পর ফের ৫ এপ্রিল ব্যাঙ্কের স্বাভাবিক পরিষেবা পাবেন গ্রাহকেরা। দেখা যাচ্ছে, ২৭ মার্চ মাসের চতুর্থ শনিবার ও ২৮ মার্চ রবিবার হওয়ার কারণে ব্যাঙ্কের পরিষেবা পাওয়া যাবে না।

২৯ মার্চ হোলির জন্য এই রাজ্যে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ৩১ তারিখ অর্থবর্ষের শেষ দিন ও পয়লা এপ্রিল পরবর্তী অর্থবর্ষের প্রথম দিন হওয়ায় ব্যাঙ্ক খোলা থাকলেও গ্রাহকেরা কোনওরকম পরিষেবা পাবেন না। এর পরের দিন অর্থাৎ ২ এপ্রিল গুড ফ্রাইডে এবং ৪ এপ্রিল রবিবার হওয়ায় ব্যাঙ্কের পরিষেবা পাওয়া যাবে না।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মাসের চারটি রবিবার ও দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাওয়া যায় না। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দোলযাত্রা কিংবা হোলি, গুড ফ্রাইডে এবং অর্থবর্ষ শুরুর ও শেষের দিন। ফলে সকলেই বুঝতে পারছেন যে দু’দিন ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে, সেই দু’দিন গ্রাহকের চাপ থাকবে। তার উপর মাসের শেষের দিকে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষের বেতন ও পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠনের পক্ষে রাজেন নাগর বলেন, ‘মাস শেষে টানা এতদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় গ্রাহকদের সমস্যা হবে তা নিশ্চিত। কিন্তু আমরা সকলকে কর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতার অনুরোধ করছি। কারণ, এতদিন পরিষেবা বন্ধ থাকলে তার চাপ পড়ে কর্মীদের উপরেও।’

আরও পড়ুন: লকডাউনের এক বছরে দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, ফেব্রুয়ারিতে হার প্রায় ৭ শতাংশ