কলকাতা: ‘রিস্ক হ্যায় তো ইশক হ্যায়’, আপনি যদি হর্ষদ মেহতার জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি ওয়েব সিরিজ ‘স্ক্যাম ১৯৯২’ দেখে থাকেন তাহলে এই সংলাপ নিশ্চয়ই আপনার মনে দাগ কেটে থাকবে। শেয়ার বাজারের দুনিয়ায় পা রেকে এ কথার মানে টের পেয়েছেন সব ট্রেডারই। একদিকে যেমন রাতারাতি বড় লাভ এই শেয়ার বাজারের হাত ধরে ঘরে তোলা যায়, তেমনই ভারডুবি হওয়ার সুযোগও রয়েছে। তাই এখনও দেশের একটা বড় অংশের মানুষ এখনও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ থেকে নিজেদের দূরে রাখেন। তবে আপনি যদি সঠিক কৌশল নিয়ে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করেন তাহলে প্রতি ৩ বছরে আপনার টাকা দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে এ কথা মনে রাখা প্রয়োজন যে স্টক মার্কেট থেকে অর্থ উপার্জনের কোনও নির্দিষ্ট উপায় নেই। শুধু রাখতে হবে চোখ কান খোলা।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেয়ার মার্কেটে সবদিকের ভারসাম্য রেখে বড় লাভ ঘরে তুলতে হলে নিজেকের বিনিয়োগকে শুধুমাত্র কোনও একটা পরিসরে আটকে ফেললে হবে না। অনেক সময় এমন হয় যে আমরা নিজেদেরকে লার্জ ক্যাপ বা মাল্টি ক্যাপ বা স্মল ক্যাপ কোম্পানিতে সীমাবদ্ধ রাখি। তবে এটি আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে খুব বেশি সুবিধা দেয় না।
অবশ্যই বৈচিত্র্য আনতে হবে পোর্টফোলিওতে। সোজা কথায় কোনও বিনিয়োগকারীকেই শুধুমাত্র একটি সংস্থায় বিনিয়োগ করা উচিৎ নয়, বা একই ধরনের স্টকে লাগাতার বিনিয়োগ ঠিক নয়। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বদাই বিভিন্ন সেক্টরের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা উচিত। তাই একটি সেক্টরের পতন হলে অন্য সেক্টর থেকে আসা লাভ সেই ক্ষতি পূরণ করতে পারে।
অন্যদিকে একজন ভাল বিনিয়োগকারীকে সবসময় মনে রাখতে হবে ভবিষ্যতে কোন সেক্টর বৃদ্ধি পেতে পারে, কোন কোম্পানি ভবিষ্যতে মার্কেট শাসন করতে পারে। যেমন বর্তমানে গ্রিন এনার্জি, বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো শিল্পের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এই সেক্টরগুলিতে বিনিয়োগের দরজা খোলা যেতে পারে।
বিঃ দ্রঃ – শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ। এখানে বিনিয়োগের কোনও নির্দিষ্ট ফর্মূলা নেই। তাই এখানে বিনিয়োগ নিজের দায়িত্বে করা উচিত।