Gen Z EMI Trap: শখ মেটাতে গিয়ে ঋণের ফাঁদে পড়ছে জেন-জি?
Debt Trap: আগের প্রজন্ম যেখানে স্থায়ী আমানত বা সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করত। সেই জায়গায় বর্তমানের জেন-জি ও মিলেনিয়ালরা 'Buy Now Pay Later' নীতিতে বিশ্বাসী।

দামি ব্র্যান্ডের ব্যাগ বা পোশাক, মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত মানুষদের কাছে বিলাসিতার সময়। কারণ সাধারণ মানুষ মনে করেন এই ধরণের পণ্য তাঁদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের হাতে হাতে ঘুরছে ব্র্যান্ডেড পণ্য। তাঁদের কারও উপার্জন অনেক। আবার কারও খুবই সামান্য। এখানে প্রশ্ন হল, তাঁদের কাছে টাকা আসছে কোথা থেকে? উত্তরটা কিন্তু খুবই সহজ। তাঁদের এই স্বপ্ন সত্যি করছে EMI বা মাসিক কিস্তি।
আগের প্রজন্ম যেখানে স্থায়ী আমানত বা সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করত। সেই জায়গায় বর্তমানের জেন-জি ও মিলেনিয়ালরা ‘Buy Now Pay Later’ নীতিতে বিশ্বাসী। আর এর পিছনে বড় কারণ হিসাবে উঠে আসে সোশ্যাল মিডিয়ার নাম। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইনস্টাগ্রামে বা কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যের ঝাঁ চকচকে জীবনযাত্রা দেখে ‘তাল মেলানোর’ একটা চাপ তৈরি হচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে। আর সেই কারণেই সাধ্যের বাইরে গিয়েও খরচ করার প্রবণতা বাড়ছে।
একটি রিপোর্ট বলছে, ভারতে জেন-জি ইতিমধ্যেই দেশের ৪৩ শতাংশ কেনাকাটা নিয়ন্ত্রণ করে। আর ২০৩৫ সালের মধ্যে তাদের খরচের পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই প্রবণতা আসলে ‘ইনস্ট্যান্ট গ্র্যাটিফিকেশন’ বা তাৎক্ষণিক তৃপ্তির মানসিকতা থেকে আসে। ৬০ হাজার টাকার ব্যাগের জন্য যখন মাসে ৫ হাজার টাকা দিতে হয়, তখন আসলে মনে হয় সেই দাম সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।
ব্যক্তিগত স্তরে এমন ঋণ নিয়ে জিনিস কেনা বিপজ্জনক হলেও তা দেশের অর্থনীতির জন্য ভাল। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, একাধিক EMI ও শখের জন্য করা ঋণ যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, মোট মাসিক কিস্তির পরিমাণ যেন আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি না হয়। শখ পূরণ হোক, কিন্তু তা যেন সাধ্যের বাইরে গিয়ে ঋণের বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়।
