Jobs in Google : কর্মক্ষমতা না বাড়লে চাকরি যাবে কর্মীদের? পিচাইয়ের বক্তব্যে কীসের আভাস?

Jobs in Google : চাকরি ছাঁটাইয়ের আভাস দিলেন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই। তিনি জানিয়েছেন, ২০ শতাংশ কার্যক্ষমতা বাড়াতেই হবে সংস্থার।

Jobs in Google : কর্মক্ষমতা না বাড়লে চাকরি যাবে কর্মীদের? পিচাইয়ের বক্তব্যে কীসের আভাস?
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 4:00 AM

বিশ্বের বহু লোকের বাড়িতে অন্ন জোটে গুগলের থেকে। বিশ্বের বড় বড় সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হল গুগল (Google)। এই সংস্থায় চাকরি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন অনেক প্রার্থীই। কিন্তু সেই স্বপ্নের সংস্থাতেই অনেকের চাকরির অবস্থাই টলমল। অন্তত সিইও সুন্দর পিচাই থেকে তেমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তিনি একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সংস্থা নিজের কার্যক্ষমতা আরও ২০ শতাংশ বাড়াতে না পারে তাহলে সংস্থার কর্মীদের চাকরিতে তার কোপ পড়তে পারে।

বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সংস্থার কর্মীদের একপ্রকার সতর্ক করেছিলেন যে কঠোর পরিশ্রম করুন নয়ত প্রস্থানের জন্য প্রস্তুত হন। তিনি বলেছিলেন, পরবর্তী ত্রৈমাসিকে প্রত্যাশা মতো আয় না হলে রাস্তায় রক্ত থাকবে। সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন যে, গুগলকে ২০ শতাংশ আরও দক্ষ করে তুলতে চান তিনি। কারণ তিনি গত কয়েক বছর ধরেই ঘন ঘন নিয়োগ ও আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মতো বেশ কিছু বিষয়ের সঙ্গে লড়াই করছেন। লস অ্য়াঞ্জেলসে কোড কনফারেন্সে পিচাই জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বিজ্ঞাপনের আয়ে ব্যাপক মন্দা রয়েছে। সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন যে কীভাবে সংস্থা আরও দক্ষ হওয়ার পরিকল্পনা করছে।

মঙ্গলবার পিচাই বলেন, ‘আমরা যত ম্যাক্রোইকোনমি সম্বন্ধে জানব আমাদের এই বিষয়ে অনিশ্চয়তা তত বাড়বে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিজ্ঞাপনে ব্যয়ের সঙ্গে ম্যাক্রোইকোনমির সম্পর্ক রয়েছে।’ তিনি বলেন, একটি সংস্থা হিসেবে নিশ্চিত করতে হবে যে, টাকার যোগান কম রয়েছে এমন পরিস্থিতিতে যাতে সঠিক জিনিসগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কর্মীদের উৎপাদনশীল হওয়ার কথা বলেন। এছাড়াও সঠিক ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিজের সময় ব্যয় করার কথা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। পর্যবেক্ষকদের মতে, তাঁর এই বক্তৃতার মধ্যেই কর্মী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা লুকিয়ে রয়েছে।

তবে এই প্রথম নয়। গত জুলাই মাসেও কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি মেমো লিখেছিলেন গুগলের সিইও। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছিল, সংস্থা চলতি বছরের বাকি সময়টুকু নিয়োগের গতি কমিয়ে দেবে। এর পিছনে বর্তমান আন্তর্জাতিক অবস্থা তুলে ধরেন তিনি।