Google Gemini AI: চাকরি যাবে, নাকি বাড়বে বৈষম্য? জেমিনাই ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ
Google Gemini AI: এবার আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআইকে নিয়ে বাড়তে থাকা একাধিক উদ্বেগ সামনে চলে এল। ভুল খবর ছড়ানো বা লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি হারানোর ভয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত থেকে সুরক্ষিত নয় কেউই।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হু হু করে বদলাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর সেই তাল মিলিয়ে একের পর এক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল লঞ্চ করে চলেছে ওপেন এআই, গ্রক বা গুগলের মতো সংস্থা। এবার এমন একটি রিপোর্ট সামনে এল যা কি না গুগলের অত্যাধুনিক এআই মডেল জেমিনাইকে শিশুদের জন্য ‘ক্ষতিকারক’ বলে চিহ্নিত করছে। এই ঘটনায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে নিয়ে বাড়তে থাকা একাধিক উদ্বেগ সামনে চলে এল। ভুল খবর ছড়ানো বা লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি হারানোর ভয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত থেকে সুরক্ষিত নয় কেউই।
কী কী বিপদ সামনে?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে সবচেয়ে বড় শঙ্কা কর্মসংস্থান নিয়ে। ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী কাজ করেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে। এআই ও অটোমেশন, এই বিশাল সংখ্যক মানুষের জীবিকা কেড়ে নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি রয়েছে ভুয়ো তথ্য নিয়ে বিপদও। ২০২৩ সালের নির্বাচনের সময়ই দেখা গিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কীভাবে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছিল। আর হোয়াটসঅ্যাপের মতো এনক্রিপ্টেড প্ল্যাটফর্মে এমন কোনও ভুতো তথ্য একবার ছড়িয়ে গেলে তার উৎস খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব।
ভারতের বিশেষ চিন্তা
জেমিনাইয়ের মতো এআই মডেলগুলো মূলত ইংরেজি তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ফলে, বাংলা-সহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় এর উত্তরে পক্ষপাতিত্বের ঝুঁকি রয়েছে। যদিও এই ধরণের ঝুঁকি থেকে মুক্ত হতে এবার হিন্দি জানা চ্যাটবট তৈরি করতে চলেছে মেটা। বা ভারতে তাদের অফিস খুলতে চলেছে ওপেন এআই।
আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হল দক্ষতার অভাব। সমীক্ষা অনুযায়ী, আমাদের দেশের ৬০ শতাংশ কর্মীর ডিজিটাল দক্ষতা নেই। ফলে এআই এলে কত শতাংশ কর্মী তা কাজের মধ্যে অ্যাডাপ্ট করতে সক্ষম, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে, এটাও ঠিক এআই শুধুমাত্র চাকরি খেয়ে নিচ্ছে এমনটাও ঠিক নয়। এআই অনেক নতুন চাকরিও তৈরি করছে। তবে নতুন এই ধরণের চাকরির জন্য প্রয়োজন উচ্চ দক্ষতা।
সরকারের ভূমিকা কী?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে একাধিক ক্ষেত্রে ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, সেই বিষয়টি আজকের দিকে আর শুধুমাত্র তত্ত্বকথা নয়। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ভারত সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল গুগলকে। এটি প্রমাণ করে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখনও সম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শক্তিশালী আইন ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারের আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাবে। ভারতের মতো বিশাল এবং বৈচিত্র্যময় দেশে প্রযুক্তি এবং সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
