GST vs Consumer Debt: জিএসটি কমলেও কি খরচ বাড়বে? ঋণের চাপে ধুঁকছে দেশের মধ্যবিত্ত!
Reserve Bank Of India: রেপো রেট কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আর এতে কমছে লোনের সুদের হার। কিন্তু সরকার চাইছে কী? মনে করা হচ্ছে দেশের মানুষ যাতে অনেকটা খরচ করে, সেটাই চাইছে সরকার।

জিএসটি কাঠামো সরল করেছে সরকার। বাড়ানো হয়েছে আয়করে ছাড়। এখন ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জনে দিতে হয় না কোনও কর। এ ছাড়াও রেপো রেট কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আর এতে কমছে লোনের সুদের হার। কিন্তু সরকার চাইছে কী? মনে করা হচ্ছে দেশের মানুষ যাতে অনেকটা খরচ করে, সেটাই চাইছে সরকার। কারণ, দেশের মানুষ খরচ বাড়ালে বাড়বে দেশের জিডিপি। আর দেশের অর্থনীতিতে একটা বেগ নিয়ে আসতে সেটাই প্রয়োজন।
জিএসটি কাঠামো সরল করে দুটি স্ল্যাব নিয়ে এসেছে সরকার। ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশের স্ল্যাব চালু করা হয়েছে। একটি তথ্য বলছে এতে সরকারের উপার্জন কমবে বছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রশ্ন হল, এতে কি সত্যিই সাধারণ মানুষ বেশি খরচ করবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরটা ‘না’ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ ভারতের মধ্যবিত্ত আয়ের চেয়ে অনেক বেশি ঋণের ওপর নির্ভরশীল। গত দশকে সাধারণ মানুষের বেতন বেড়েছে গড়ে ১০ শতাংশ হারে। কিন্তু পার্সোনাল লোন নেওয়ার হার বেড়েছে ১৭ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ, রোজগারের চেয়ে ধার করার প্রবণতা বেড়েছে অনেক বেশি।
এই চাপের ছবিটা ক্রেডিট কার্ডের হিসাবে স্পষ্ট। কার্ডের বকেয়া ঋণের পরিমাণ বাড়ছে বছরে ২৫ শতাংশ হারে। অনেকে ৩৯ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশের বিপুল সুদে কার্ড থেকে নগদ টাকা তুলছেন। এমনকি সোনার মতো সম্পদও এখন বিপদের দিনের ভরসা নয়। গত আট বছরে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ৪২.৩ শতাংশ হারে।
ডেট রিলিফ প্ল্যাটফর্ম ‘FREED’-এর প্রতিষ্ঠাতা রিতেশ শ্রীবাস্তব বলছেন, তাঁদের প্ল্যাটফর্মে প্রতি মাসে প্রায় ১৭০ কোটি টাকার স্ট্রেসড লোন নথিভুক্ত হচ্ছে। আগে এই পরিমাণটা ছিল মাত্র ৫০ কোটি টাকা। মানুষ এখন জীবনবিমার পলিসি বন্ধক রেখেও দৈনন্দিন খরচ চালাচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, সাধারণ মানুষ তাঁদের ভবিষ্যতের আয়ও আজই খরচ করে ফেলেছেন। তাই শুধু জিএসটি কমালেই মানুষ খরচ বাড়াবে, এমন আশা করা ঠিক নয়। মানুষের খরচ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন আয় বৃদ্ধি ও ঋণের বোঝা কমানো। আর তার পাশাপাশি প্রয়োজন নতুন চাকরি তৈরি করা।
