AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Russia’s Su-75: ৪.৫ প্রজন্মের রাফাল নাকি পঞ্চম প্রজন্মের সুখোই? আকাশ দখলে কোন দিকে তাকিয়ে আমাদের দেশ?

Indian Air Force, Rafale or Sukhoi: রাফাল নাকি নতুন প্রজন্মের সুখোই? কোন যুদ্ধ বিমানের কথা ভাবছে ভারতীয় বায়ু সেনা? জানা গিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা HAL রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে নতুন যুদ্ধবিমান তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছে।

Russia's Su-75: ৪.৫ প্রজন্মের রাফাল নাকি পঞ্চম প্রজন্মের সুখোই? আকাশ দখলে কোন দিকে তাকিয়ে আমাদের দেশ?
Image Credit: https://en.wikipedia.org/wiki/Sukhoi_Su-75_Checkmate#/media/File:SU-75_prototype.jpg
| Updated on: Oct 07, 2025 | 1:12 PM
Share

৬০ বছরের বেশি সময় ভারতের আকাশকে পাহারা দিয়েছে রাশিয়ান মিগ ২১। বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনায় রয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের মিগ ২৯ ফাইটার জেট ও আপগ্রেডেড সুখোই ৩০-এর মতো রাশিয়ান ফাইটার জেট। বর্তমানে রাফালের দিকে সরকার কিছুটা ঝুঁকলেও আগামীতে কি সুখোইয়ের কথাই ভাবছে ভারত নাকি অন্য কোনও রাশিয়ান জেট নিয়েও ভাবনা চিন্তা চলছে? তবে এই সবের মধ্যেই আরও একটা নতুন খবর এল সামনে।

জানা গিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা HAL রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে নতুন যুদ্ধবিমান তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছে। মিগ ২১ এবং সুখোই ৩০ এমকেআই তৈরির অনেক আগে থেকেই ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক। আর এবার সেই সম্পর্ককে আগামীর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই এটি একটি নতুন পদক্ষেপ, বলাই যায়।

রাশিয়া ভারতের সামনে দুটি বড় প্রস্তাব রেখেছে। প্রথমটি হল পঞ্চম প্রজন্মের এসইউ ৫৭ স্টেলথ ফাইটার। দ্বিতীয়টি হল আরও আধুনিক ও হালকা এসইউ ৭৫ যুদ্ধবিমান। রাশিয়ার দাবি, HAL-এর নাসিকের কারখানাতেই নাকি এই বিমান তৈরি সম্ভব।

কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনার পছন্দ আবার ৪.৫ প্রজন্মের ফরাসি রাফাল জেট। সম্প্রতি বায়ুসেনা ১১৪টি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল কেনার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব রেখেছে। ফলে রাফাল নাকি সুখোই, কোন যুদ্ধ বিমান আসতে চলেছে ভারতের কাছে? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই এখন সরকারের কাছে একটা বিরাট সিদ্ধান্ত।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার সাথে যৌথ উদ্যোগে বিমান তৈরি হলে তার মালিকানা ভারতের হাতে থাকবে, যা ‘আত্মনির্ভর ভারত’ লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে। এমনকি রশিয়া বিমানের সোর্স কোডও ভারতে দিতে পারে বলে খবর। সেই ক্ষেত্রে ভারত নিজের মতো করে সেই বিমানে একাধিক পরিবর্তন করতে পারবে। অন্যদিকে, নতুন কোনও চুক্তির আগে তার খরচ এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের সুবিধাগুলো খতিয়ে দেখা জরুরি।

এখন দেখার বিষয়, পুরনো বন্ধু রাশিয়ার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে দিল্লি ভরসা রাখে, নাকি ফরাসি রাফালের ওপরই আস্থা বাড়ে। আর নয়া দিল্লির এই সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করছে আগামী কয়েক দশকে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি কতটা বাড়ে।