Indian Economy: এই সম্প্রদায়ের মানুষ কীভাবে ভারতের অর্থনীতির রাশ ধরে রেখেছে নিজেদের হাতে?
'The Baniya Money Code': চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নীতিন কৌশিক সম্প্রতি একটি পোস্ট করেছেন। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে তিনি ‘দ্য বানিয়া মানি কোড’ নামে একটি পোস্ট করেছেন। আর সেখানেই তিনি তুলে ধরেছেন এক শতাব্দী প্রাচীন এক আর্থিক সংস্কৃতির কথা।

আচ্ছা ‘বানিয়া’রা কীভাবে সম্পদ তৈরি করেন? কী ভাবছেন আপনি! জানেন না তো? তবে এই ব্যাপারে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নীতিন কৌশিক সম্প্রতি একটি পোস্ট করেছেন। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে তিনি ‘দ্য বানিয়া মানি কোড’ নামে একটি পোস্ট করেছেন। আর সেখানেই তিনি তুলে ধরেছেন এক শতাব্দী প্রাচীন এক আর্থিক সংস্কৃতির কথা। যা আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক।
🚨 The Baniya Money Code
A small community, but a giant in wealth creation. For Baniyas, money isn’t about showing off. It’s about multiplying silently.
Here’s their hidden playbook — and why India’s markets still run on their mindset 🧵👇#stockmarketscrash #finance… pic.twitter.com/LlP6n1CzK1
— CA Nitin Kaushik (FCA) | LLB (@Finance_Bareek) September 26, 2025
বেতন নয়, আয় হল পুঁজি
সাধারণ চাকরিজীবীর কাছে বেতন একটি ‘খরচযোগ্য’ ব্যাপার। অর্থাৎ, উপার্জন করার পর তা খরচ করাই হয় সাধারণ মানুষের লক্ষ্য। কিন্তু বানিয়াদের কাছে প্রতিটি টাকা হল বা ক্যাপিটাল। ফলে তারা এই অর্থ ভোগ না করে পুনরায় ব্যবসা, জমি বা গুদামে বিনিয়োগ করে দেন। কৌশিকের মতে, এই পদ্ধতিই পারিবারিক সম্পদকে প্রজন্ম ধরে সুরক্ষিত রাখে।
বোঝা নয়, ঋণে লাভ হয়
বানিয়াদের কাছে ঋণের ধারণা ভিন্ন। ৮ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে সেই পুঁজি থেকে যদি ১২ থেকে ১৫ শতাংশ লাভ করা যায়, তবে সেই ঋণকে বোঝা বলা যায় না। বরং সেই ঋণ বানিয়াদের আরও এগিয়ে চলতে সাহাস্য করে। এটি কোনও ঝুঁকি বা জুয়ার মতো নয়। একেবারে অঙ্কের হিসাব।
বিশ্বাস ও পরিবারের শৃঙ্খলা
দেশে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা শুরু হওয়ার আগে থেকেই এই বানিয়ারা তাদের ব্যোবসা চালাত। ফলে, তাঁদের ব্যবসার আসল ভিত্তি হল বিশ্বাস। এ ছাড়াও হিন্দু আনডিভাইডেড ফ্যামিলি বা HUF-এর অধীনে এই পরিবারগুলো তাদের সমস্ত সম্পদ একত্রিত করে রাখে। আর এই কাজ তাদের কর বাঁচাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও পরিবারের নারীরা সোনা ও গয়না অর্থাৎ স্ত্রী ধনের মাধ্যমে একটি সুরক্ষার বলয় তৈরি করে রাখেন।
তাঁদের এই পারিবারিক শিক্ষা দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থিনীতির ডিগ্রির থেকেও দামি। এই পরিবারগুলো শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন করে তা জমিয়েছে, এমন নয়। তারা অর্থের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক শিক্ষা, শৃঙ্খলাও ক্রমাগত মেনে চলেছে। আর তাঁদের এই নীতির ফলে শুধু তাঁরা নয়, উপকৃত হয়েছে দেশের অর্থনীতিও।
