SAARC নিয়ে USA-কে ‘নালিশ’ Bangladesh-এর, Pakistan-এর জন্যই পদক্ষেপ ইউনূসের?
Bangladesh On India-Pakistan: নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার মাঝে আমেরিকান কূটনীতিক গোরের সঙ্গে দেখা করেন ইউনূস। তাঁদের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল প্রায় অচল হয়ে থাকা সার্ক। কিন্তু ইউনূস কি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের শীতলতা কাটানর জন্য এই উদ্যোগ নিচ্ছেন?

এবার সার্ক বা সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করল বাংলাদেশ। আমেরিকান কূটনৈতিক সের্জিও গোরের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও করেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এখানে জানিয়ে রাখা ভাল, সের্জিও গোরে আগামীতে রাষ্ট্রদূত হয়ে আসতে চলেছে ভারতে। এ ছাড়াও তাঁর কাঁধে থাকবে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দায়িত্বও। নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার মাঝে গোরের সঙ্গে দেখা করেন ইউনূস। তাঁদের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল প্রায় অচল হয়ে থাকা সার্ক। যা ভারত ও পাকিস্তানের খারাপ কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে গত ১০ বছর ধরে অচল হয়ে রয়েছে। কিন্তু ইউনূস কি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের শীতলতা কাটানর জন্য এই উদ্যোগ নিচ্ছেন? সেই উত্তর হয়তো সময়ই দেবে।
শেষবার সার্ক সম্মেলন হয়েছিলও ১০১৪ সালে, কাঠমাণ্ডুতে। ২০১৬ সালে উরিতে জঙ্গি হামলা হওয়ার পর থেকেই বন্ধ সার্কের শীর্ষ সম্মেলন। আর এই ব্যাপারে প্রথম থেকে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। নয়াদিল্লির আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তান সীমান্তপার সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না করলে তাদের সঙ্গে কোনও অর্থপূর্ণ আলোচনা করা সম্ভব নয়।
এই পরিস্থিতিতে ভারত বিমস্টেকের (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation) মতো বিকল্প মঞ্চকে শক্তিশালী করার দিকেই মনোযোগ দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই মঞ্চে সদস্য হিসাবে নেই পাকিস্তান। ফলে, এখানে পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে ব্যবসা ও অন্যান্য সম্পর্কের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সহজে আলোচনা করা যায় ও তার বাস্তবে প্রতিফলন ঘটানো যায়।
এখন প্রশ্ন উঠছে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে। ইউনূস-গোর বৈঠকে আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা উঠলেও, আমেরিকা সার্ক নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও মন্তব্য করেনি। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় আমেরিকার যে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ নিয়ে ভারত বরাবরই সতর্ক। বিশেষ করে যখন এর সাথে আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত।
