IT Giants on Artificial Intelligence: ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি কি সঙ্কটে? কী বলছে দেশের বড় বড় আইটি কোম্পানিগুলো?
Artificial Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন কি ফুরিয়ে যাবে? এই উদ্বেগের আবহে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি সংস্থাগুলি কিন্তু অন্য কথা বলছে। তাদের মতে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরি কাড়বে না। উল্টে কাজের ধরণ বদলাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে।

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি হাব ও সিলিকন ভ্যালি হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ ভারতের হায়দরাবার আর বেঙ্গালুরু। একটা সময় এমন ছিল তথ্য প্রযুক্তি হাব বলতে মানসনেত্রে ভেসে উঠত সারি সারি কিউবিকল আর কোডিংয়ে মগ্ন ইঞ্জিনিয়ারদের ছবি। কিন্তু জেনারেটিভ এআই সেই চেনা ছবিটা দ্রুত বদলে দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, এআই যদি নিজেই কোড লিখতে পারে, তাহলে কি ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে?
এই উদ্বেগের আবহে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি সংস্থাগুলি কিন্তু অন্য কথা বলছে। তাদের মতে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরি কাড়বে না। উল্টে কাজের ধরণ বদলাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে।
ইনফোসিসের সতীশ এইচ সি-র মতে, এই পরিবর্তনটা হল ‘স্কিল-ভিত্তিক কাজ থেকে জ্ঞান-ভিত্তিক কাজে’ যাওয়া। অর্থাৎ, যন্ত্রের সঙ্গে জুটি বেঁধে ইঞ্জিনিয়ারদের আরও বুদ্ধিদীপ্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। অ্যাকসেঞ্চারও জানাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতে ইঞ্জিনিয়াররা এখন শুধু কোডিং নয়, কোম্পানির রণনীতি তৈরিরও অংশীদার হচ্ছেন।
এই বদলের সবচেয়ে বড় ব্যাখ্যা দিয়েছে টিসিএস এবং স্যাপ (SAP)। টিসিএস-এর সিটিও হ্যারিক ভিন বলেন, ‘আগে ইঞ্জিনিয়াররা ভাবতেন কীভাবে কোনও কাজ হবে। এখন তাঁদের ভাবতে হচ্ছে কেন এবং কোন কাজটা করা উচিত’।
স্যাপ (SAP)-এর পিভিএন পবন কুমারের কথায়, ব্যাপারটা অনেকটা রাজমিস্ত্রি থেকে আর্কিটেক্ট হয়ে ওঠার মতো। ইঞ্জিনিয়াররা এখন আর ইট গাঁথবেন না, বরং পুরো বাড়িটার নকশা বানাবেন। ফলে, ভয় নয়, কৌতূহলকে সঙ্গী করেই ইঞ্জিনিয়ারদের এই নতুন ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
