Retirement Planning: ১০ কোটি নয়! অবসরের জন্য ঠিক কত টাকা লাগবে? জেনে নিন সহজ ফর্মুলা
Retirement Fund Formula: অবসরের তহবিলের জন্য ঠিক কত টাকার প্রয়োজন হবে? ১০ কোটি নাকি ৫০ কোটি? এই বিশাল অঙ্কের কথা ভেবে অনেকেই দিশেহারা হন। তবে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ নীরজ চৌহানের মতে, এই বিষয়টা এতটা জটিলভাবে ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই।

অবসরের পর একটা নিশ্চিন্ত জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেন সব মানুষই। কিন্তু তার জন্য ঠিক কত টাকার প্রয়োজন হবে? ১০ কোটি নাকি ৫০ কোটি? এই বিশাল অঙ্কের কথা ভেবে অনেকেই দিশেহারা হন। তবে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ নীরজ চৌহানের মতে, এই বিষয়টা এতটা জটিলভাবে ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই। একটি সহজ ফর্মুলাতেই আপনার আসল অঙ্কটা বেরিয়ে আসবে।
নীরজ বলছেন, এই ফর্মুলার নাম ‘ফাইন্যান্সিয়াল ফ্রিডম নম্বর’। এর নিয়ম অত্যন্ত সরল। আপনার বার্ষিক খরচকে ২৫ দিয়ে গুণ করলে যে টাকার অঙ্ক পাওয়া যায় সেটাই নাকি আপনার প্রয়োজনীয় রিটায়ারমেন্ট ফান্ড।
ভাবছেন এত সহজে বিষয়টা কীভাবে কাজ করে? ধরুন, আপনার মাসিক খরচ ১ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ বছরে ১২ লক্ষ টাকা। এই ফর্মুলা অনুযায়ী, ১২ লক্ষকে ২৫ দিয়ে গুণ করলে যা হয় সেটাই আপনার রিটায়ারমেন্ট ফান্ড হওয়া উচিত। অর্থাৎ ৩ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অঙ্কের উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর ৪ শতাংশ টাকা তুললে এবং বাকি টাকা ৭ শতাংশ সুদে লগ্নি করা থাকলে, আপনার ফান্ড কোনও দিনই শেষ হবে না। মুদ্রাস্ফীতি সামলেও ওই ৩ কোটি টাকার ফান্ড ৩০ বছর পর বেড়ে প্রায় ৪.৮৩ কোটি টাকার আশেপাশে হয়ে যেতে পারে। আর মুদ্রাস্ফীতি বাদ দিলে ওই টাকাই হতে পারে ১১ কোটির মতো।
সুতরাং, হিসাব না করে বড় অঙ্কের পিছনে না ছুটে, নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক লক্ষ্যে এগিয়ে চলাই ভাল। নীরজ চৌহানের কথায়, ‘আর্থিক স্বাধীনতা মানে ধনী হওয়া নয়, নিজের শর্তে জীবনযাপন করার স্বাধীনতা’। তবে মনে রাখবেন, এটি একটি সাধারণ নিয়ম। নিজের পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রত্যেককে নিজের মতো করে পরিকল্পনা করতে হবে। আর এই কাজে একজন অর্থনৈতিক উপদেষ্টার পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
