RuPay Cards: বিশ্বমঞ্চে কোন কোন দেশ ব্যবহার করে ভারতের নিজের কার্ড?
NCPI, RuPay Cards: ভিসা বা মাস্টারকার্ডের উপর নির্ভরতা কমাতে, দেশীয় অর্থনীতির ভিত শক্ত করতে রুপে কার্ড নিয়ে এসেছিল এনসিপিআই। কিন্তু আজকের রুপে কার্ড কেবল কম খরচে সার্ভিস দিচ্ছে এমন নয়। বিশ্বের ২০০-র বেশি দেশে ডিজিটাল লেনদেনের দরজা খুলে দিয়েছে এই রুপে কার্ড।

এমন একটা সময় ছিল যখন আমরা ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড বলতে সাধারণত ভিসা বা মাস্টারকার্ডের কথাই বুঝতাম। কিন্তু এমন ভারতীয়দের কাছে রয়েছে তাদের নিজস্ব কার্ড, রুপে কার্ড। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে কতটা ছাপ ফেলেছে ভারতের নিজের কার্ড?
ভিসা বা মাস্টারকার্ডের উপর নির্ভরতা কমাতে, দেশীয় অর্থনীতির ভিত শক্ত করতে রুপে কার্ড নিয়ে এসেছিল এনসিপিআই। কিন্তু আজকের রুপে কার্ড কেবল কম খরচে সার্ভিস দিচ্ছে এমন নয়। বিশ্বের ২০০-র বেশি দেশে ডিজিটাল লেনদেনের দরজা খুলে দিয়েছে এই রুপে কার্ড।
কীভাবে কাজ করছে রুপে?
রুপে খুব দ্রুত গোটা বিশ্বে তার জায়গা করে নিচ্ছে। আর এর পিছনে রয়েছে প্রধানত দুই আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের হাত ধরে। Discover/Diners Club এবং JCB বা Japan Credit Bureau-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে হু হু করে এগিয়ে চলেছে এই কার্ড। এই কারণেই রুপে গ্লোবাল কার্ড বিশ্বের প্রায় সব দেশের এটিএমের কার্যকর। এ ছাড়াও ভারতের অর্থনৈতিক কূটনীতির অংশ হিসেবে বেশ কিছু দেশে সরাসরি রুপে কার্ডের পরিকাঠামোও তৈরি করা হয়েছে।
কোথায় কোথায় এখন রুপে কার্ডের সার্ভিস মেলে?
বিদেশের মাটিতে প্রথম রুপে কার্ডের জয়ধ্বজ্বা উড়েছিল ভূটানে। ২০১৭ সালে সেই দেশে সার্ভিস দেওয়া শুরু করে এই কার্ড। এর পর ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুর, ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ২০২২ সালে নেপালে চালু হয় রুপে কার্ড। এ ছাড়াও ২০২৪ ও ২০২৫ সালে মরিশাস, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, কাতার ও ওমানেও চালু হয়েছে এই কার্ড।
এই কার্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই কার্ডের সার্ভিস অন্য বিদেশি কার্ডের তুলনায় অনেক সস্তা। ভিসা বা মাস্টারকার্ডের তুলনায় প্রায় ৫০ শতানগশ সাশ্রয়ী এই কার্ড। আবার যে সব দেশে ইউপিআই চালু হয়েছে, সেখানে সেখানে রুপে কার্ডের সঙ্গে ইউপিআই যুক্ত হওয়ায় কিউআর কোড পেমেন্ট আরও সহজ হয়ে গিয়েছে।
আগামীতে কী হবে?
আশা করা হচ্ছে, NPCI International Payments Limited-এর নেতৃত্বে ২০২৫ সালের শেষের দিকে আরও অন্তত ১০টি দেশে RuPay-এর বিস্তার ঘটবে। ইউরোপ বা মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে চালু হতে পারে রুপে। ফলে, আগামীতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির প্রধান কারিগর হয়ে ওঠার যে রাস্তা তার কয়েকটা ধাপ যে ভারত পার করে ফেলেছে, তা হলফ করে বলাই যায়।
