Starlink in India: জলের দরে মিলবে মাস্কের Satellite Internet?
Starlink Internet: সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবার খরচ আমাদের দেশে কত হবে? ভুটান বা বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশে স্টারলিঙ্কের খরচ প্রতি মাসে প্রায় ৩ হাজার টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে ৩০ হাজার টাকার ইনস্টলেশন চার্জ।

ভারতে তাদের ব্যবসা শুরুর প্রথম ধাপ সবে পার করল ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (DoT) সংস্থাটিকে কিছু স্পেকট্রাম বরাদ্দ করেছে। এর ফলে দেশে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবার ট্রায়াল শুরু করতে পারবে তারা।
জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে দেশের ১০টি জায়গায় পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। আর এই পরিষেবার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মুম্বইকে। টেলিকম দফতরের এক আধিকারিক এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
কবে থেকে শুরু হবে পরিষেবা?
ট্রায়ালের অনুমতি পেলেও, বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করা থেকে এখনও কিছুটা দূরে স্টারলিঙ্ক। এর জন্য সংস্থাটিকে প্রথমে গ্রাউন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করতে হবে। এরপর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। চূড়ান্ত স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হলে, তবেই পরিষেবা পাবেন সাধারণ গ্রাহকরা। ডিজিটাল কমিউনিকেশনস কমিশন এবং TRAI খুব তাড়াতাড়িই ইন্টারনেটের দাম ও আরও একাধিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করবে স্টারলিঙ্কের সঙ্গে।
খরচ কত হতে পারে?
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবার খরচ আমাদের দেশে কত হবে? ভুটান বা বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশে স্টারলিঙ্কের খরচ প্রতি মাসে প্রায় ৩ হাজার টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে ৩০ হাজার টাকার ইনস্টলেশন চার্জ। টেলিকম দফতর সূত্রে খবর, ভারতে গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় দাম হয়তো কম হবে। খরচ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হতে পারে, অর্থাৎ মাসিক ২ হাজার টাকার কাছাকাছি।
দুর্গম পাহাড়ি বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফাইবার অপটিক কেবল পৌঁছানো কঠিন। স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেখানেই বিপ্লব আনতে পারে। এদিকে, গ্রাহকদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য UIDAI-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে স্টারলিঙ্ক। অর্থাৎ, আধার কার্ডের মাধ্যমেই সহজে কানেকশন নেওয়া যাবে।
ভারতের বাজারে অ্যামাজনের কুইপার বা অ্যাপলের গ্লোবালস্টারের মতো সংস্থাও প্রবেশ করতে আগ্রহী। তবে ফার্স্টমুভার হিসাবে স্টারলিঙ্কের এই পদক্ষেপ দেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার এক নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
