Share Market: ফের বড়সড় ক্ষতির মুখে শেয়ার মার্কেট, একদিনেই উবে গেল প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি
Share Market: একাধিক স্টকে লাগাতার পতনের জেরে এদিন স্টক মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। BSE-এর মার্কেট ক্যাপ ৪০০ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। শুধু এদিনই বিনিয়োগকারীরা ২.৫১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
কলকাতা: শুক্রবার শেয়ার বাজারে ফের বড়সড় দরপতন দেখা গেল। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সেনসেক্স ৭৯৩ পয়েন্ট কমে যায়। যেখানে নিফটিতেও ১ শতাংশের বেশি পতন দেখা গিয়েছে। শুক্রবার, সান ফার্মার মতো নিফটি কোম্পানিগুলি প্রায় ৪ শতাংশ কমেছে। যেখানে মারুতি সুজুকি, টাইটান, সিপ্লা, জেএসডব্লিউ স্টিল, পাওয়ার গ্রিড এবং ওএনজিসি প্রায় ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। ফার্মা স্টকগুলি মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিফটি ফার্মার স্টকগুলি। প্রায় ১.৭ শতাংশ কমেছে৷ সব সেক্টরাল সূচক লালে গিয়ে থেমেছে। নিফটি ব্যাঙ্ক, যা প্রথমবার ৪৯,০০০ হাজারের গণ্ডি পার করেছিল তাও ০.৮৬ শতাংশ কমে গিয়েছে।
সোজা কথায়, একাধিক স্টকে লাগাতার পতনের জেরে এদিন স্টক মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। BSE-এর মার্কেট ক্যাপ ৪০০ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। শুধু এদিনই বিনিয়োগকারীরা ২.৫১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এখন BSE এর মার্কেট ক্যাপ ৩৯৯.৬৮ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়িয়ে। আসুন আমরাও জানাই কি কি কারণে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা স্মলক্যাপ এবং মিডক্যাপ স্টকগুলি বড় মাত্রায় বিক্রি করতে শুরু করেছেন। সে কারণেই এই দরপতন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ ভারত-মরিশাস ট্যাক্স চুক্তির সংশোধনের জন্য একটি প্রোটোকলের বাস্তবায়ন। সূত্রের খবর, এটা বাস্তবায়িত হলে মরিশাস থেকে বিনিয়োগকারীরা এখন আরও বেশি মাত্রায় যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হতে হতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে মরিশাস ভারতে FDI-এর চতুর্থ বৃহত্তম উৎস। দেশের মোট FPI সম্পদের প্রায় 6 শতাংশের ওখানের। কিন্তু, নতুন নিয়ম চালুর কথা উঠতেই ঘুম উড়েছে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের।
বিঃ দ্রঃ – শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ। এখানে বিনিয়োগের কোনও নির্দিষ্ট ফর্মূলা নেই। তাই এখানে বিনিয়োগ নিজের দায়িত্বে করা উচিত।