AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Success Story: সকাল ৭টার মিটিংয়ে জানতে পারেন আমেরিকান কোম্পানির চাকরিটা আর নেই, তারপর কীভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন ২৩ বছরের হর্ষিল?

Fight Back after Laid Off: যে বয়সের ছেলেরা চাকরি পেয়ে একটা সময় গান ধরত, 'চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছ...'। সেই বয়সে হঠাৎই চাকরি চলে গেল হর্ষিলের। কিন্তু তিনি যা করলে দেখালেন, সেটাই প্রেরণা জোগাবে আমার-আপনার মতো সাধারণ মানুষকে।

Success Story: সকাল ৭টার মিটিংয়ে জানতে পারেন আমেরিকান কোম্পানির চাকরিটা আর নেই, তারপর কীভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন ২৩ বছরের হর্ষিল?
Image Credit: Getty Images
| Updated on: Oct 09, 2025 | 12:06 AM
Share

১৩ মার্চ ২০২৫, সকাল ৭টায় অফিসের মিটিংয়ে জয়েন করেন বছর তেইশের হর্ষিল তোমর। সেখানে তিনি তাঁর টিম লিডকে কাজের আপডেট দেন। তারপর পরবর্তীতে কী কাজ হবে, না হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন করেন। তারপরই যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। তাঁকে জানানো হয়, তাঁর চাকরিটা আর নেই। যে বয়সের ছেলেরা চাকরি পেয়ে একটা সময় গান ধরত, ‘চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছ…’। সেই বয়সে হঠাৎই চাকরি চলে গেল হর্ষিলের।

চাকরি অনেকেরই চলে যায়। কারও চাকরি যায় দুর্নীতির শিকার হয়ে। কারও চাকরি চায় রাজনীতির শিকার হয়ে। আবার কারও চাকরি যায় সম্পূর্ণ তারই দোষে। যে দোষ যারই হোক, ১৩ মার্চ সকাল ৭টার পর থেকে হর্ষিলের চাকরিটা কিন্তু আর ছিল না। এমতাবস্থায় সাধারণত মানুষ কী করে? কান্নাকাটি? নতুন চাকরি খোঁজার চেষ্টা? বা আদালতের দ্বারস্থ হওয়া? অনেকে আবার এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে অন্য কোনও পথ বেছে নেন। কিন্তু সেটা কোনও সমাধান তো নয়। কিন্তু হর্ষিল যা করলে দেখালেন, সেটা শুধু আগামী প্রজন্ম কেন, আজকের প্রজন্মের কাছেও একটা উদাহরণের মতো হয়ে রইল।

চাকরি হারিয়ে তিনি মনোযোগ দিলেন তাঁর স্টার্টআপে। আর সেই স্টার্টআপ পরবর্তী ৬ মাসে ৫০ হাজার ডলার রেভেনিউ উপার্জন করল। আর তাঁর সেই কাহিনী এখন ভাইরাল এক্স হ্যান্ডেলে। হর্ষিল সেখানে লিখেছেন, যখন তাঁর চাকরি চলে যায়, সেই সময় তাঁর স্টার্টআপের মাসিক উপার্জন ছিল মাসিক ১ হাজার ডলার। সঙ্গে ছিল তাঁর সঞ্চয়। আগামী ৯ মাসের খরচ। যা কি না তাঁর আপৎকালীন তহবিল।

উল্লেখ্য হর্ষিলের সংস্থা ড্রিমলঞ্চ স্টুডিয়ো গ্রাহকদের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ক্লাউড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইনের মতো সার্ভিস দিয়ে থাকে।

তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছে, ঘুণাক্ষরে জানতেও পারেনি কেউ। না তাঁর বাবা-মাও নয়। স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করার ঝুঁকি নেন তিনি। আর তাঁর সেই পরিশ্রমের ফলও তিনি পাবন হাতেনাতে। তাঁর সংস্থার রেভেনিউ গিয়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার ডলারে। সংস্থার মাসিক আয় ১০ হাজার ডলারের বেশি। শূন্য থেকে শুরু করে আজ বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছেন হর্ষিল। তাঁর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।